অভিযোগ, ঝোপের মধ্যে কিশোরীদের টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এলাকার যুবক। বাধা পেলে কিশোরীদের শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
মেলা দেখে রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুই কিশোরী বোনের শ্লীলতাহানি করলেন এক যুবক। এমনকি, চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে কিশোরীদের মা-বাবা বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর করেন তিনি। এই অভিযোগে শুক্রবার বর্ধমানের এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ধৃতের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমান থানার রায়ানের দুর্গাডাঙার বাসিন্দা নাড়ু কর্মকারের বিরুদ্ধে দুই কিশোরীর শ্লীলতাহানি-সহ তাঁদের মা-বাবাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুর্গাডাঙা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীরা বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমান শহরে কৃষ্ণসায়েরে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন বছর যোলো সতেরোর ওই কিশোরীরা। অভিযোগ, দুর্গাডাঙার কাছে নাড়ু এবং তাঁর এক সঙ্গী তাঁদের পথ আটকান। তাঁদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাত ধরে টানাটানি করতে থাকেন। এমনকি, রাস্তার পাশে একটি ঝোপের মধ্যে তাঁদের টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা পেলে কিশোরীদের শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ। কিশোরীদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তাঁদের বাবা-মা সেখানে পৌঁছন। অভিযোগ, মেয়েদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে তাঁদের মাকে মারধর করেন নাড়ু। মহিলার স্বামী বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এর পর অভিযুক্তরা সেখান থেকে চলে যায়।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছে কিশোরীদের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে নাড়ুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তবে কোনও আইনজীবী কাজে যোগ না দেওয়ায় ধৃতের হয়ে কেউ আদালতে দাঁড়াননি। অভিযুক্তকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার আবার তাঁকে আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।