জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। এ বার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগেই এই পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার সকালে জ্যোতিপ্রিয়ের সল্টলেকের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে ইডি। নাগেরবাজারে তাঁর পৈতৃক ভিটে এবং আপ্তসহায়ক অমিত দের দু’টি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চলে। অভিযোগ, বিভিন্ন রেশন ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে সিন্ডিকেট তৈরি করে কেন্দ্রের পাঠানো ন্যায্যমূল্যের রেশন সামগ্রী বেআইনি ভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় যখন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী, তখন এই ‘দুর্নীতি’ হয়েছে। ব্যাবসায়ী বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে। তারই তদন্তে নেমেছে ইডি। প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে টানা তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার মাঝরাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। শুক্রবার দুপুরে আদালতে তাঁকে হাজির করে ইডি। রেশন দুর্নীতির তদন্তে মন্ত্রীকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় তারা। মন্ত্রী জানান, তিনি অসুস্থ। ডায়াবিটিসের রোগী। রোজ অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। ইডি যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি, সে কথাও আদালতে দাবি করেন মন্ত্রী। পাল্টা সওয়াল করে ইডি।
এই শুনানি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা করে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে পরে জানানো হয়, জ্যোতিপ্রিয়ের সুগারের সমস্যা বেড়েছে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। তাই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। চিকিৎসার খরচ বহন করবে জ্যোতিপ্রিয়ের পরিবার। আদালতের নির্দেশ, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ১০ দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে পাবে ইডি।