ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ফুটবল খেলে প্রচার বাবুল সুপ্রিয়র। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি ছেড়ে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের পরেই হয়েছিল ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন। সেই ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি-র প্রার্থী হন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। যেহেতু প্রিয়ঙ্কাকে নিজেই হাত ধরে বিজেপি-তে এনেছিলেন তৎকালী বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে চাননি গায়ক রাজনীতিক। কিন্তু পুরভোটে তেমন কোনও ঝঞ্ঝাট নেই। তাই দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই ভবানীপুর কেন্দ্রেই পুরভোটের প্রচারে নেমে পড়লেন বাবুল। ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি-র ভাল ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মমতার উপনির্বাচন বাদ দিলে গত কয়েকটি ভোটে বিজেপি বার বার প্রথম হয়েছে এখানে। এমনই একটি ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি ছেড়ে আসা কাউন্সিলর অসীম বসু। তাঁর হয়েই পুরভোটে প্রচারে নামতে দেখা গেল আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদকে।
৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীকে নিয়েই এক ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বেশ কিছুক্ষণ ফুটবল খেললেন বাবুল। সঙ্গে জানালেন, দল যেখানেই প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দেবে, সেখানেই যাবেন। ফুটবল খেলার পাশাপাশি বেশ কিছু এলাকাবাসীর সঙ্গে কথাও বলেন বাবুল। এলাকার কাউন্সিলরকে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে আবেদনও করেন তিনি। বাবুল বলেন, ‘‘আমি যখন যে কাজ করি, পুরোপুরি মন দিয়ে করি। মমতাদি ও এবি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাকে মন দিয়ে বাংলার কাজ করতে বলেছেন। আমি খুশি মনেই সেই কাজ করব।’’ ফুটবল খেলে প্রচার নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘খেলা হবে-ই যখন স্লোগান, তখন খেলাকে তো প্রচারে গুরুত্ব দিতেই হবে। আর আমি মুম্বইতে থাকাকালীনও ফুটবল খেলতাম। দু'টি দলও তৈরি করেছিলাম। আর দিল্লিতে থাকাকালীনও ফুটবল খেলতাম। খেলতে আমার ভালই লাগে।’’ তৃণমূলের রাজনীতি বুঝে ওঠার জন্য তাঁকে যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কিছুটা সময় দিয়েছেন, তা-ও বলেছেন বাবুল।
যাঁর প্রচারে এসে বাবুলের ফুটবল খেলা, সেই তৃণমূল প্রার্থী অসীম বলেন, ‘‘ফুটবল তো আমাদের প্রাণের খেলা। সেই খেলা দিয়েই আমাদের প্রচার শুরু হল। আমি মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। মানুষ বিচার করবেন। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতোই পরিষেবা দিয়েছি। তাঁর ভরসার দাম দিতে চাই।’’