দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
কলকাতা পুরসভার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পরই প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে বামফ্রন্ট। তার পর শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু রবিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিজেপি-র প্রার্থিতালিকা প্রকাশের বিষয়ে কোনও খবর নেই। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল পুরভোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা না করায় পুরভোটকে বিজেপি ‘গুরুত্ব’ দিচ্ছে না বলে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এমনকি এমনও গুঞ্জন সামনে এসেছে যে, বিজেপি হয়তো কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের সবক’টিতে প্রার্থী দেবে না। রবিবার দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য সে সব সমালোচনা উড়িয়ে জানালেন, যথা সময়ে সমস্ত রীতি-রেওয়াজ মেনেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি। কারণ দিলীপের কথায়, ‘‘দলে একটা সিস্টেম আছে। যা খুশি তা-ই করা যায় না।’’
শনিবারই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘আচমকা ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আমরা এখনও সব চূড়ান্ত করে উঠতে পারিনি। আমরা গোটা রাজ্যে একসঙ্গে পুর নির্বাচন চেয়েছিলাম। সেটা হয়নি।’’ বিজেপি-র একটি অংশ মনে করছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর এখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে কলকাতায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন। কর্মীদের মনোবলও তলানিতে। তাই শক্তি অপচয় করে লাভ নেই বুঝেই পুরভোটকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে না দল। রবিবার যদিও দিলীপ বোঝালেন, তাঁর দল আসলে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই দেরি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে সমস্ত দলই নিজস্ব ভঙ্গিতে চলে। আমরা সর্বভারতীয় দল, যথা সময়ে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।’’প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপের বক্তব্য, ‘‘দলীয় কর্মীদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আমরা নির্বাচনে জেতার জন্য লড়ি এবং আমাদের জেতার সম্ভাবনাই বেশি’’
একই সঙ্গে দিলীপ বিঁধেছেন তৃণমূলকেও। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে একাংশের দাবি। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “খুব স্বাভাবিক এটা। কেউ কেউ তো টিকিট না পেয়ে পদত্যাগও করছেন। আসলে তৃণমূলে দল বলে কিছু নেই, কেবল পুলিশ ও গুন্ডা আছে। গোলাগুলি দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে। দল সামলাতে পারছে না বলেই ত্রিপুরা ও গোয়াকে টোপ হিসাবে দেখানো হচ্ছে। নির্বাচন তো একতরফা হয়, জানে টিকিট পেলেই জিতে যাবে। সেই কারণে মারামারি হচ্ছে।’’