ফিরহাদ হাকিমের পাশে দাঁড়িয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর পার্থ মিত্রর ঘোষণা কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন না। নিজস্ব চিত্র।
রাত পোহাতেই ভোলবদল তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলরের। শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কো-অর্ডিনেটর তথা ১০ বছরের কাউন্সিলর পার্থ মিত্রকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল। বদলে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন শ্যামপুকুর বিধানসভার বিধায়ক তথা নারী শিশু সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজার কন্যা পূজা পাঁজা। শনিবার সন্ধ্যায় বিধান ভবনে কংগ্রেস ৬৬টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাতে দেখা যায়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর পার্থ। ঘোষণার সময় কলকাতার পুরভোটের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত জানান, পার্থ কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই টিকিট দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু রবিবার সকালেই ভোলবদল বিদায়ী কাউন্সিলরের। সকালেই তাঁর বাড়িতে আসেন পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। কিছুক্ষণ কথা বলার পরেই বাইরে বেরিয়ে ফিরহাদকে পাশে নিয়ে পার্থ জানিয়ে দেন তিনি এ বারের ভোটে তৃণমূলের হয়েই কাজ করবেন। কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবেন না। পার্থ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ও ববি হাকিমের আর্শীবাদ নিয়ে আমি তৃণমূলেই আছি। অনেকে এসে অনেক কথা বলে গেছে। কংগ্রেস থেকে বলেছিল, বায়োডেটা দাও। আমি কোনও বায়োডেটা দিইনি। আমার নামে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি টিকিট পাইনি ঠিকই। আমার দাদা আমার জন্য চেষ্টা করেছিল। ফল যাই হোক, আমি তৃণমূলেই আছি।’’ প্রসঙ্গত, উত্তর কলকাতার তৃণমূল রাজনীতিতে শ্যামপুকুর এলাকায় পার্থ বনাম শশীর দ্বন্দ্ব কোনও অজানা বিষয় নয়। সূত্রের খবর, সেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাসেই ‘ঘরে ফিরলেন’ পার্থ।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘পার্থ তৃণমূলেই আছে। কোনও বিভ্রান্তির বিষয় নেই। দলেই থাকবে, অন্যান্য কাজ করবে। যিনি এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন, তাঁকে জয়ী করার জন্য কাজ করবেন।’’ প্রার্থীর এ হেন দলবদল প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি কংগ্রেস নেতৃত্বের। প্রসঙ্গত, ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসের প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন আরও এক দলত্যাগী কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন বিধায়ক মমতাজ বেগম।