তৃণমূল ভবনের বিকল্প হিসেবে তপসিয়ায় তৈরি হয়েছে এই ছোট পার্টি অফিসটি। নিজস্ব চিত্র।
বড় হচ্ছে দলের দফতর। তপসিয়ার তৃণমূল ভবন ভেঙে গড়ে উঠবে নতুন ইমারত। তাই পুরনো তৃণমূল ভবনের বিকল্প হিসেবে তৈরি হল নতুন ‘মিনি তৃণমূল ভবন’। ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগেই ছোট তৃণমূল ভবন উদ্বোধনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল। সেই মতো গত বুধবার উদ্বোধন করা হয় ছোট এই পার্টি অফিসটি। কার্যালয় উদ্বোধনের পরেই ঘুরে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সী। প্রয়োজনে দলের সর্বস্তরের নেতারাও এই দলীয় দফতরে বসবেন নিয়মিত। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের দফতরের চাপ কমাতেই এই বিকল্প দফতরটি তৈরি করা হয়েছে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।
এখানকার পুরনো তৃণমূল ভবনটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আপাতত সেখানে নতুন ভবন গড়ে উঠতে কমপক্ষে বছর দুয়েক সময় লাগবে বলেই খবর। তাই দলীয় কর্মীদের যোগাযোগ কেন্দ্র হিসেবেই এই ‘মিনি তৃণমূল ভবন’টি কাজ করবে। যাঁরা দলের সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে তৃণমূল ভবনের অফিস সামলাতেন, তাঁদেরই দায়িত্বে রাখা হয়েছে এই নতুন দফতর। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের লাগোয়া নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশনের নীচেই রাস্তা ঘেঁষে তৈরি হয়েছে এই কার্যালয়টি। মোট তিনটি ঘর তৈরি হয়েছে ওই মিনি তৃণমূল ভবনে।
রবিবার নতুন ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষেই তৃণমূলে যোগদান করলেন শিখা মিত্র ও শুভ্রা ঘোষ। এই ভবনে শীর্ষ নেতাদের বসার জন্য ছোট একটি ঘর তৈরি হয়েছে। মাঝের অংশে সাংবাদিক সম্মেলন ও ছোট মাপের বৈঠকের জন্য তুলনামূলক একটি বড় ঘর রয়েছে। সেই ঘরটির লাগোয়া একটি ‘গেস্টরুম’-ও রাখা হয়েছে পিছন দিকে। কোনও বিশেষ অতিথি এলে যাতে তাঁকে বসানো যায়, সে কথা মাথায় রেখেই ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। একেবারে পিছন দিকে রয়েছে শৌচাগার। তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতা খালিদ ইবাদুল্লাহ বলেন, ‘‘যত দিন না নতুন তৃণমূল ভবন তৈরি হয়, তত দিন এখান থেকেই দলের কিছু কাজকর্ম হবে। দলের শীর্ষ নেতারাও এখানে এসে কাজ করবেন। ছোট পরিসরে সেই পরিকাঠামো রাখা হচ্ছে।’’