মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো জারি হল ‘দুয়ারে রেশন’-এর পাইলট প্রোজেক্ট-এর বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র
ভোটের প্রতিশ্রুতিতে আম জনতার দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারেও এর উল্লেখ ছিল। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই সেই প্রতিশ্রুতিই কার্যকর করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। যাবতীয় প্রস্তুতি শেষে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই চালু হতে চলেছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। শনিবার এই কর্মসূচি চালুর আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে খাদ্য দফতর। ১৭ পাতার নির্দেশিকায় প্রকল্পের বিস্তারিত খুঁটিনাটির উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশকায় বলা হয়েছে, আপাতত পাইলট প্রোজেক্ট চালু হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে যেমন সরকার সাধারণ মানুষের দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে। তেমনই কিছু দায়িত্ব থাকবে রেশন ডিলারদেরও। প্রতিটি জেলায় ৫ থেকে ১৫ শতাংশ গ্রাহকের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়িত্বে থাকবেন ডিলাররা। খাদ্য দফতররের এক কর্তা জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। প্রকল্প শুরুর লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা জেলাস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠকও করেছেন।
এই পাইলট প্রোজেক্ট-এ খাদ্য দফতরে কর্মরত ইন্সপেক্টরদের সঙ্গে নিয়েই রেশন ডিলাররা গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। সেখানেই ডিজিটাল পদ্ধতিতেই রেশন কার্ড ইপস (ইলেকট্রিক পয়েন্ট অব সেল) যন্ত্রে পাঞ্চ করা হবে। এর ফলে গ্রাহক কত পরিমাণ রেশন নিচ্ছেন তা নথিবদ্ধ হয়ে যাবে। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, পাইলট প্রজেক্ট-এর মাধ্যমে গোটা প্রক্রিয়ায় কোনও ভুল ত্রুটি থাকছে কি না, কিংবা নতুন কোনও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তাও বোঝা যাবে। ফলে আগামী দিনে নতুন পদ্ধতি বা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে আরও বেশি গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছানো যাবে রেশন সামগ্রী।