অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে প্রতিবাদ জানাল ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’। তৃণমূলপন্থী হলেও এই মঞ্চে রয়েছেন বিজেপি এবং আরএসএস-বিরোধী বিভিন্ন অংশের মানুষজন। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এই মঞ্চের অন্যতম সহযোগী। কেজরীওয়ালের গ্রেফতারের পর এই মঞ্চের আশঙ্কা, এর পর আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব ছাড়া তৃণমূলেরও অনেক বড় নেতাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
গত বুধবার এই মঞ্চের একটি কনভেনশন ছিল। সেখানে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘‘বিরোধী দলগুলোকে দুর্বল করার জন্য ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টকে ব্যবহার করছে বিজেপি। ইডি, সিবিআই আজ্ঞাবহ ভাড়াটে বাহিনীর মতো বিরোধীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।’’ আপ প্রধানের গ্রেফতারের পর ফের সে কথাকেই সামনে এনেছে ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’। এ নিয়ে বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে নরেন্দ্র মোদী সরকার কাউকে রেয়াত করে না। দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাওয়ার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে।
মঞ্চের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনে হারের বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। তাই, তারা মরিয়া হয়ে উঠে যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতার জনসমর্থন আছে, তাঁদের গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়ে নির্বিঘ্নে নির্বাচন করার চেষ্টা করছে । আগামী দিনে তেজস্বী যাদব বা অখিলেশ যাদবকেও ওরা গ্রেফতার করবে। এ রাজ্যের কোনও গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে পারে। অঘোষিত জরুরি অবস্থার চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি।’’
পাশাপাশিই, বিজেপি যাঁদের এক সময়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছিল, তাঁরা এখন বিজেপিতে গিয়ে কী ভাবে নিরাপদে রয়েছেন, সেই প্রশ্নও তুলেছে এই মঞ্চ। এই প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, অজিত পওয়ার, ছগন ভুজবল, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের কথাও উল্লেখ করেছে তারা।