(বাঁ দিকে) মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল আগেই। এ বার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি সরাসরি মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে দলের জনসভায় বলেন, ‘‘৫ অগস্ট আপনারা যেমন রাস্তায় নেমেছিলেন, আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হবে।’’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ। তাঁর ছেলে তথা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক দীর্ঘ দিনই বিদেশে। এই পরিস্থিতিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে এখন কার্যত বিএনপি পরিচালনার দায়িত্ব। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা এবং ঢাকা ছেড়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়ার পরে প্রথম বার বাংলাদেশের কোনও রাজনৈতিক দল হিসাবে ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল বিএনপি। সেই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ফখরুল।
গত ১৬ অগস্ট বিজয় দিবসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা জানিয়েছিলেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে খালেদার দল। বিজয় দিবসের বক্তৃতায় ইউনূস জানিয়েছিলেন, সব শর্ত পূরণ করলে ২০২৫-এর শেষ থেকে ২০২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে ‘নির্বাচন করা যেতে পারে’। পরের দিন ইউনূসের প্রেস সচিব আবার ব্যাখ্যা দেন, ২০২৬-এর জুনের পরে নির্বাচন হতে পারে। তারেক এবং ফখরুল এর পরেই ‘নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে’ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন। সোমবার সরাসরি ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিলেন ফখরুল।