Birbhum TMC

কেষ্টই কি থাকছেন? প্রশ্ন জিইয়ে রেখে বীরভূমের দায়িত্ব অন্য জেলার তিন নেতাকে দিলেন মমতা

বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে থেকে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। অনেক জল্পনা থাকলেও বিকল্প নামের ঘোষণা নেই। উল্টে অন্য জেলার তিন নেতাকে দায়িত্ব দিলেন মমতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৮:২৮
Share:

অনুব্রত গ্রেফতারের পরেই মমতা জানিয়েছিলেন, তিনিই দেখবেন বীরভূমের সংগঠন। — ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডলই কি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে থাকবেন? না কি তাঁকে সরিয়ে কেষ্টর পরিবর্ত খোঁজা হবে? এমন জল্পনার মধ্যেই শুক্রবার বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই বৈঠকে নাকি অনুব্রতর নামই ওঠেনি! তাঁকে ওই জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হবে কি না তা নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, বীরভূম নয়, অন্য জেলার তিন নেতাকে সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

অনুব্রত গ্রেফতারের পরেই মমতা জানিয়েছিলেন, তিনিই দেখবেন বীরভূমের সংগঠন। তবে শুক্রবারের বৈঠকের পরে ঠিক হয়েছে ওই জেলায় মমতা ছাড়াও সাংগঠনিক বিষয় দেখবেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (কলকাতা), আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (পশ্চিম বর্ধমান) এবং পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (পশ্চিম বর্ধমান)। প্রসঙ্গত, তিন জনই বীরভূম জেলার বাইরের নেতা।

গরু পাচার মামলায় অনুব্রত এখন তিহাড় জেলে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হয়েছিল, তৃণমূল নেতৃত্ব এ বার জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তন আনবে। অনুব্রতের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা কাজল শেখের নামও পরবর্তী সম্ভাব্য জেলা সভাপতি বলে অনেক ভেবেছিলেন। মমতা আগেই কাজল ছাড়াও বিকাশ রায়চৌধুরী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন চক্রবর্তী এবং চন্দ্রনাথ সিন্‌হাকে নিয়ে জেলার কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের কাউকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তৃণমূল সূত্রে খবর, কাজলকে দায়িত্ব দেওয়া দূরের কথা, তিনি যেন দলকে অস্বস্তিতে ফেলার মতো কোনও মন্তব্য না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন মমতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement