সমীক্ষায় কেউ গেলে ঝাঁটাপেটার ‘নিদান’ অনুব্রত মণ্ডলের

বাড়িতে কেউ সমীক্ষা করতে গেলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের তাঁদের ঝাঁটাপেটা করার ‘নিদান’ দিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মুরারই শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৪
Share:

রবিবার বিকেলে, মুরারই ২ ব্লকের পাইকরের হাজরা মাঠে। ছবি: তন্ময় দত্ত

বাড়িতে কেউ সমীক্ষা করতে গেলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের তাঁদের ঝাঁটাপেটা করার ‘নিদান’ দিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে কাদের উদ্দেশে তাঁর এই ‘নিদান’ তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

Advertisement

রবিবার বিকেলে মুরারই ২ ব্লকের পাইকরের হাজরা মাঠে নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতায় জনসভা করে তৃণমূল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, “যদি আপনাদের বাড়িতে যায় সার্ভের নাম করে, জিজ্ঞাসা করে আপনাদের বাড়িতে ক’টি বাছুর, ক’টি ছাগল? তারপরে জিজ্ঞাসা করে ক’টি মানুষ, কখন এসেছেন? কত সালে এসেছেন? ৭১ সালের দলিল আছে? তখন ঝাঁটার বাড়ি মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেবেন। চিন্তা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন আপনার পাশে।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সিপিএম ও কংগ্রেস জোট বেঁধেছে ২০২১ সালে বিজেপির হাত শক্ত করার জন্য।’’

রাজ্যে তাঁরা এনআরসি হতে দেবেন না বলে এ দিনও দাবি করেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘চ্যালেঞ্জ করলাম তুমি ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে পার, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হতে দেব না। আমরা আন্দোলন কী করে করতে হয় জানি। আমরা মৃত্যুতে ভয় পাইনা। আমরা এগিয়ে যাব।’’ মুরারইয়ের বাসিন্দাদের ধন্যবাদও দেন অনুব্রত। বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে মুরারই বিধানসভার মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার ফলে আমরা এই আসনটিতে জিতেছি। সেই জন্য আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।”

Advertisement

এ দিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, ত্রিদিব ভট্টাচার্য ও মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমান। তৃণমূল নেতাদের দাবি, জনসভায় তিরিশ হাজারের বেশি কর্মী এসেছিল। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement