তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্দিক মোল্লা। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালিতে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)-র উপর হামলার অভিযোগে নিজ়াম প্যালেসে হাজির হলেন সন্দেশখালির তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্দিক মোল্লা। ইডির উপর হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে সিদ্দিককে। মঙ্গলবার নিজ়াম প্যালেসে প্রবেশের আগে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, তাঁকে কেন ডাকা হয়েছে তার কারণ এখনও পর্যন্ত জানেন না তিনি।
ইডির আধিকারিকের উপর হামলার দিন তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কি না, তা প্রশ্ন করা হয় পঞ্চায়েত প্রধানকে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমায় কেন ডেকেছে, তা আমি জানি না। সে দিন আমি ওখানে ছিলাম না। তদন্তে সহযোগিতা করব।’’ তার পর সোজা নিজ়াম প্যালেসের অন্দরে প্রবেশ করে যান তিনি।
তবে সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত শাহজাহান শেখের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল সিদ্দিকের। এমনকি ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিদ্দিকের কোনও যোগসূত্র থাকতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির বেড়মজুরের পঞ্চায়েত প্রধান সিদ্দিক। সোমবার তাঁর বেড়মজুরের বাড়িতে গিয়ে তলব করে আসেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ওই তৃণমূল নেতাকে নিজ়াম প্যালেসে তলব করা হয়।
ইতিমধ্যেই সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। ন্যাজাট থানার অধীনস্থ ফাঁড়িতেও তদন্তের প্রয়োজনে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ধৃত শাহজাহানের এক প্রতিবেশীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন। রহমান আকুঞ্জি নামে এক ব্যক্তির খোঁজ না পেয়ে তাঁর বাড়ির এক সদস্যের হাতে নোটিস দেন সিবিআই আধিকারিক। কিন্তু পরিবারের এক মহিলা সদস্য সিবিআইয়ের সামনেই তাঁদের নোটিস ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে আরও একটি নোটিস দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, সোমবার নিজ়াম প্যালেসে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পঞ্চায়েত প্রধান-সহ তাঁর দুই শাগরেদকে। শেষে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জিয়াউদ্দিন মোল্লা। সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয় দিদারবক্স মোল্লা এবং ফারুক আকুঞ্জি নামে আরও দু’জনকে। একটি বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার মামলায় ওই গ্রেফতারি। মঙ্গলবার এই তিন জনকে নিজ়াম প্যালেস আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।