শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
শাহজাহান শেখের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে থাকা সন্দেশখালির নেতার জামিন-আর্জি খারিজ করে দেয়। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে আসে। সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গত সোমবার শাহজাহানের আগাম জামিনের শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল হাই কোর্টে। ওই দিন শাহজাহানের আইনজীবী আদালতে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার আর্জি জানান। তাঁর বক্তব্য ছিল, আগাম জামিনের আবেদনের শুনানির আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর মক্কেল। এই অবস্থায় নতুন করে বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হোক।
শাহজাহানের বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে সওয়াল করে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। আর তিনি ওই মামলাতেই আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। ফলে শাহজাহানের অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর উচ্চ আদালত হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য শাহজাহানকে এক দিন সময় দেয়। মঙ্গলবারই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
৫৫ দিন ধরে বেপাত্তা থাকার পর ৫৬ দিনের মাথায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। রবিবার শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।