মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি সমর্থিত সংগঠন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি সমর্থন জানাতে মিছিলের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি সমর্থিত একটি সংগঠন। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সন্দেহ, কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরজি কর-কাণ্ডে একাধিক ব্য়ক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তা নিয়ে গত কয়েক দিনে জুনিয়র ডাক্তারদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াও এসেছে। এ বার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে মিছিল করতে চাইছে বিজেপি সমর্থিত ওই সংগঠনটি। সংগঠনের বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানাতে আগামী ২৪ জানুয়ারি কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করতে চায় তারা।
মিছিলের অনুমতির জন্য মামলা দায়ের করতে চেয়ে সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংগঠনটি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় সঞ্জয়কে শনিবারই দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। সোমবার দুপুরে তাঁর শাস্তি ঘোষণা করা হবে। কলকাতা পুলিশ এবং সিবিআইয়ের তদন্তে আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এক মাত্র অপরাধী ধৃত সিভিকই। এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে ধর্ষণ এবং খুনে প্রত্যক্ষ কোনও যোগের প্রমাণ তাঁদের বিরুদ্ধে পাননি তদন্তকারীরা। ওই মামলায় উভয়েই জামিন পেয়েছেন। যদিও আরজি করে আর্থিক বেনিয়মের মামলায় এখনও জেলবন্দি রয়েছেন সন্দীপ।
তবে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা মনে করছেন এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারেন। শনিবার শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’ লিফলেট ছাপিয়ে দাবি করেছে, বিচার পাওয়া যায়নি। লিফলেটে মোট ২০টি প্রশ্ন তুলেছে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। সিংহভাগ প্রশ্নই তদন্তপ্রক্রিয়ায় ‘ফাঁক’ থেকে যাওয়া সংক্রান্ত। আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়েরও সন্দেহ, আরও কেউ জড়িত থাকতে পারেন এই ঘটনায়। সোমবার শিয়ালদহ আদালত চত্বরে তাঁরা দাবি করেছেন, সঞ্জয় একা দোষী নন বলে তাঁদের মনে হয়েছে। কোনও প্রভাবশালীকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে তাঁদের স্থির বিশ্বাস।