পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ফাইল চিত্র।
সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনা হল। বুধবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে এই প্রস্তাবটি আনা হয়। সিবিআই ও ইডি-র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রসঙ্গটি তোলেন সরকার পক্ষের উপ-মুখ্যসচেতক তথা বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়। পরে আবার কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনেন মুখ্য সচেতক তথা পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। সিবিআই-এর ডেপুটি ডিরেক্টর সত্যেন্দ্র সিংহ এবং ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদের প্রতি অবমাননার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
বিধানসভার মর্যাদাহানির অভিযোগ ও স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। বিধানসভার প্রস্তাব গেছে স্বাধিকাররক্ষার কমিটিতেও। প্রসঙ্গত, নারদ কাণ্ডে বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডি তাঁর অনুমোদন ছাড়াই আদালতে চার্জশিট দেওয়ায় মাস আড়াই আগেই প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন স্পিকার। তাঁর মতে, নারদকাণ্ডে সিবিআই-ইডি অভিযুক্ত তিন বিধানসভা সদস্যের বিরুদ্ধে যে ভাবে চার্জশিট দাখিল করেছে, তা সংশ্লিষ্ট আইনের পরিপন্থী। আইন এবং শীর্ষ আদালতের রায় মোতাবেক বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট দেওয়ার আগে স্পিকারের অনুমোদন নেওয়া আবশ্যিক বলে শাসক পক্ষের থেকে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুই এজেন্সি সেই নিয়ম মানেনি বলেই অভিযোগ। তারই প্রেক্ষিতে স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মল।