দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
আচমকাই বিধানসভায় এলেন দিলীপ ঘোষ। বুধবার দুপুরে বিধানসভায় এসে তিনি যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরে। সেখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে যান পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে কিছুক্ষণ কথা বলার পর যান পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে। পূর্তমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এই সাক্ষাতের কারণ প্রসঙ্গে জানান তিনি। প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি জানান, মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুরে যাওয়ার জন্য বহু পুরনো কাঁসাই সেতু রয়েছে। বিকল্প হিসেবে আরও একটি সেতু গড়তে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার জবাবে ইতিবাচক উত্তর দিলেও সেতু তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতিও প্রয়োজন। সেই বিষয়ে কথা বলতেই বিধানসভায় এসেছিলেন দিলীপ।
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, দিলীপের সাক্ষাতের পরেই মন্ত্রী নোট পাঠিয়ে দিয়েছেন। দিলীপের আশা, সরকারি সহযোগিতা পেলে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা যাবে। প্রসঙ্গত, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় তৈরি হবে সেতুটি। তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি। তবে পরিবহণ মন্ত্রীর ঘরে যাওয়া নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বলেন, ‘‘বহু বার এই ঘরে আমি এসেছি। সকলের সঙ্গেই আমরা কথা হয়। আগে যেমন হত। আপনারা চমৎকৃত হতে পারেন, আমি হচ্ছি না।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে খড়্গপুর সদর থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন দিলীপ। সেই সময় থেকেই ফিরহাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভাল। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভায় জয়ী হলে বিধায়ক পদ ছাড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু চলতি বছর বিজেপি বিধানসভার বিরোধী দল হওয়ার পরেই এই নিয়ে চার বার বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন তিনি।