খাবারের দোকান পরিদর্শন জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকের। সিউড়ি বাস স্ট্যান্ড এলাকায়। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
সিউড়ি শহরের রাস্তা ধারের একাধিক দোকানে খোলা জায়গায় রাখা থাকছে খাবার। সেখান থেকেই তা বিক্রি হচ্ছে। খাবার তৈরির ক্ষেত্রেও কোনও গুণগত মান যাচাই করা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে খাবার কতটা স্বাস্থ্য সম্মত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অবশেষে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। বুধবার শহরের একাধিক দোকানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়, কিছু বাসি খাবার ফেলে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। খতিয়ে দেখা হয় ফুড সেফটি লাইসেন্সও।
বুধবার দুপুরে হঠাৎই সিউড়ির বাস স্ট্যান্ড এলাকায় হানা দেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। বিভিন্ন রেস্তরাঁ, তৈরি করা খাবারের দোকান, প্যাকেটজাত খাবারের দোকান এমনকী ফলের দোকানগুলিতেও হানা দেন তাঁরা। আধিকারিকেরা জানান, খাবারে ব্যবহার করা যায় না এমন রং উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকটি দোকান থেকে। কয়েকটি দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ দুধ, দই, সস, তেল ইত্যাদিরও হদিশ পান তাঁরা। এ ছাড়াও অনেক দোকানেই খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স এবং ফুড লাইসেন্স নেই। সেই সমস্ত দোকান মালিকদের আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে, না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুঁশিয়ারিও দেন আধিকারিকেরা।
জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেনজিৎ বটব্যাল বলেন, “আমরা একটা সচেতনতামূলক অভিযান চালালাম। যেগুলি খাদ্যোপযোগী নয়, তেমন রং যেন খাবার তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার না করা হয়, যাদের লাইসেন্স নেই তাঁরা যেন দ্রুত লাইসেন্স করিয়ে নেন, সেই বিষয়ে দোকান মালিকদের সতর্ক করা হল। আমরা চাই, সিউড়ি শহরে একটি সুস্থ খাবারের পরিবেশ তৈরি হোক। যাঁদের সতর্ক করা হয়েছে, তাঁরা যদি তা না মানেন, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই অভিযান প্রসঙ্গে দোকান মালিক রহমতুল্লাহ শেখ, পূর্ণচন্দ্র ঘোষ জানান, আধিকারিকেরা যে নির্দেশগুলি দিয়েছেন, তা পালন করা হবে। দোকানের সামনের অংশ পলিথিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।