Medicines

ওষুধ কিনতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদেরই

পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরুলিয়া মেডিক্যাল সূত্রের দাবি, নির্দেশিকা আসার আগেই ওই সংস্থার তৈরি বিভিন্ন ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। তবে পুরুলিয়া মেডিক্যাল-সহ জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ওই সংস্থার তৈরি স্যালাইন ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ ছাড়াও অন্য ওষুধও মজুত রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫৯
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পরে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর সাতটি ইঞ্জেকশন ও স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার কলকাতা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ওই নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

তবে পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরুলিয়া মেডিক্যাল সূত্রের দাবি, নির্দেশিকা আসার আগেই ওই সংস্থার তৈরি বিভিন্ন ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। তবে পুরুলিয়া মেডিক্যাল-সহ জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ওই সংস্থার তৈরি স্যালাইন ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ ছাড়াও অন্য ওষুধও মজুত রয়েছে। যদিও রাজ্যের তরফে পাঠানো নির্দেশিকায় ওই সব ওষুধ ওয়ার্ড বা অন্য জায়গা থেকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

পুরুলিয়া মেডিক্যালের সুপার সুকমল বিষই বুধবার বলেন, ‘‘ওই সংস্থার কিছু স্যালাইন আমাদের কাছে ছিল। তবে ওটসস্যাপে নির্দেশ পেয়ে সংস্থার সমস্ত ওষুধের ব্যবহার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশিকা পেয়ে ওই সব ওষুধ সরিয়েও ফেলা হচ্ছে।’’

Advertisement

এর বদলে অন্য সংস্থার ওষুধ হাসপাতালে মজুত না থাকায় রোগীর পরিজনদের বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। তাতে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। মানবাজার ২ ব্লকের মানিকডি গ্রামের নবকুমার হাঁসদার ভাই মেডিক্যালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। নবকুমারের কথায়, ‘‘ভাইয়ের জন্য ডাক্তারবাবুরা স্যালাইন কিনে দিতে বলছেন। রোজ তিনটি করে লাগছে। সব মিলিয়ে এ দিন পর্যন্ত১২টা স্যালাইন কিনতে হল।’’

ওই ব্লকেরই দুর্জয়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন হাঁসদা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁর মা মেডিক্যালে ভর্তি আছেন। এখন হাসপাতাল থেকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে না। বাইরের দোকান থেকে কিনে দিতে হচ্ছে।’’

মেডিক্যালের সুপার সুকমল বিষই বলেন, ‘‘ওই সংস্থার স্যালাইন নিষিদ্ধ বলে রোগীর পরিজনদের কিনে আনতে বলা হচ্ছে। তবে বিকল্প হিসেবে আপাতত অন্য সংস্থার তৈরি ওই ওষুধগুলি কেনার কথা ভাবা হয়েছে। দফতরের নিয়ম মেনে দ্রুত তা কেনা হবে।’’

পুরুলিয়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস বলেন, ‘‘আপাতত পাঁচ হাজার বিভিন্ন স্যালাইন বাইরে থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement