বিধানসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে বিধায়কদের সচেতন থাকতে হবে। কোনও ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় বিধায়করা বিধানসভার নিয়ম মেনে জিএসটি বিল জমা দিতে পারেননি, তা হলে তাঁরা টাকা পাবেন না। গত বার কয়েক জন বিধায়কের বিল নিয়ে বিস্তর সমস্যা হয়েছিল। তাই আগে থাকতেই বিষয়টি বিধায়কদের কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’’
বিধায়কদের নতুন ল্যাপটপ কিনে দেবে বিধানসভার কর্তৃপক্ষ। প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রত্যেক বিধায়ককে ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, সব বিধায়ককে ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা করে মঞ্জুর করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রত্যেক বিধায়ককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই টাকা দেবেন বিধানসভা কর্তৃপক্ষই। কিন্তু, তার জন্য বিধায়কদের ল্যাপটপ কেনার পর জিএসটি-সহ বিল জমা দিতে হবে বিধানসভায়। তার পর সেই বিল যাচাই করে টাকা দেওয়া হবে। তবে মন্ত্রীরা ল্যাপটপ কেনার জন্য পাবেন ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু এই টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে যাবে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকেই।
প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচনের পর নতুন বিধানসভার কাজকর্ম শুরু হলে নতুন ল্যাপটপ কিনে দেওয়া হয় বিধায়কদের। কিন্তু গত কয়েক বার দেখা গিয়েছে, স্থানীয় কোনও দোকান থেকে ল্যাপটপ কেনার বিল এনে টাকা নিয়ে গিয়েছেন বিধায়করা। কিন্তু এ বার সেই পদ্ধতিতে বদল আনা হচ্ছে। ল্যাপটপ কেনার জিএসটি বিল দিলে তবেই টাকা পেতে পারবেন বিধায়করা। রাজ্য মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ৪২ জন মন্ত্রী রয়েছেন, তাঁদের দফতর থেকেই নতুন ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার টাকা দেওয়া হবে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার ৪৪টির বদলে ৪২টি ল্যাপটপ কেনার টাকা বরাদ্দ করবে। বাকি ২৫০ জন বিধায়কের জন্য বিধানসভা কর্তৃপক্ষের মোট খরচ হবে এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
বিধানসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে বিধায়কদের সচেতন থাকতে হবে। কোনও ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় বিধায়করা বিধানসভার নিয়ম মেনে জিএসটি বিল জমা দিতে পারেননি, তা হলে তাঁরা টাকা পাবেন না। গত বার কয়েক জন বিধায়কের বিল নিয়ে বিস্তর সমস্যা হয়েছিল। তাই আগে থাকতেই বিষয়টি বিধায়কদের কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’’