উমাকান্ত বর্মণ
প্রশ্ন: পাঁচ বছরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে কতটা সফল জেলা পরিষদ?
উত্তর: একশো শতাংশ বলব না। তবে অনেকটাই সফল। বাম আমলে কোচবিহারে রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল থেকে সেচ, স্কুলের পরিকাঠামো— প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে কী অবস্থা ছিল, সবাই জানেন। এখন তার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
প্রশ্ন: তা হলে ‘দিদির দূতদের’ গ্রামে গ্রামে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন? অনুন্নয়নের অভিযোগ উঠছে কেন?
উত্তর: এটা দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক। বিরোধীরা বলছেন বিক্ষোভের কথা। আমরা বলছি, মানুষ অভিযোগ জানাচ্ছেন। সে অভিযোগ শুনতেই আমরা গ্রামে গ্রামে ‘দিদির দূত’ হয়ে গিয়েছি। আগেই বলেছি, কখনও মনে করছি না একশো ভাগ কাজ হয়েছে। কিছু সমস্যা রয়েইছে।
প্রশ্ন: চার দিকে দুর্নীতির অভিযোগ। নিয়োগে, আবাস যোজনায়, একশো দিনের কাজে। দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলেরই অনেক নেতা-মন্ত্রী জেলে। মানুষের কাছে কী জবাব দেবেন?
উত্তর: নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তাতে আমার দল ও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। জনপ্রতিনিধি বা যে কেউ যদি অভিযুক্ত হন, অভিযোগে যদি সারবত্তা থাকে, তা হলে তাঁর পাশে কেউ দাঁড়াবে না। দু’-একটি ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ রয়েছে, তা বিচারাধীন। আদালত তা নিয়ে রায় দেবে। আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অথচ, কয়েক দফায় তা খতিয়ে দেখার পরে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হয়। তেরো হাজারের বেশি নাম বাদ দেওয়া হয়েছে জেলায়। আমাদের দলের যে জনপ্রতিনিধিদের নাম ছিল, প্রত্যেকেই তা কাটিয়ে নিয়েছেন। এর পরে, কেন্দ্রীয় দল এসেছে। নিজেরা সব দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তার পরেও টাকা দেওয়া হয়নি। একই ভাবে প্রায় দু’বছর ধরে একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ। নির্দিষ্ট করে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ নেই।
প্রশ্ন: সরকারি প্রকল্পগুলির হাল নিয়েও বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন।
উত্তর: সরকারি প্রত্যেকটি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন মানুষ। আগে, সরকারি কাজে দীর্ঘসূত্রতা ছিল। ‘দুয়ারে সরকার’ হওয়ার পরে, তা নেই।
প্রশ্ন: আরও একটি অভিযোগ বার বার উঠছে। তা হল ‘কাটমানি’। জনপ্রতিনিধিরা কাজের নামে টাকা নিচ্ছেন, ফলে কাজের মানও খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
উত্তর: জনপ্রতিনিধিরা পরিষেবা দিতে গিয়ে উপঢৌকন নিয়েছেন বা কাজের জন্য টাকা কেটে রেখেছেন, এমন অভিযোগ পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব। এ ক্ষেত্রে অবশ্য অভিযোগের পিছনে রাজনীতি থাকে বেশিরভাগ সময়।
সাক্ষাৎকার: নমিতেশ ঘোষ