Footpath Encroachment

মমতার নির্দেশের পরেই ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে দিকে দিকে শুরু অভিযান! সল্টলেক থেকে কলকাতা

নবান্নে সোমবার পুরসভা নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, পুরনিগমের মেয়র, মন্ত্রী, বিধায়কদের কার্যত তুলোধনা করেছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ১৫:০৭
Share:

সল্টলেকে অভিযান। —সংগৃহীত।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক খাওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই সল্টলেকে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে নামল পুলিশ এবং পুরসভা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিধাননগর পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং সেক্টর ফাইভে বুলডোজ়ার নিয়ে একাধিক দোকানের কাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়। বিভিন্ন জায়গায় নয়ানজুলির মধ্যেও বাঁশের মাচা করে টিনের কাঠামো দিয়ে দোকান তৈরি করা হয়েছিল। সে সবও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ে বহু দোকানদারকে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে। একই ভাবে কলকাতায় এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাথ দখলমুক্ত করতেও পদক্ষেপ করে প্রশাসন। গড়িয়াহাটেও ফুটপাথ দখল করে থাকা দোকানদারদের বলা হয়েছে এক দিনের মধ্যে সব জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে।

নবান্নে সোমবার পুরসভা নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই বৈঠকে পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, পুরনিগমের মেয়র, মন্ত্রী, বিধায়কদের কার্যত তুলোধনা করেছিলেন তিনি। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর উদ্দেশে মমতা সরাসরি বলেছিলেন, ‘‘সল্টলেকে সুজিত টাকা নিয়ে লোক বসাচ্ছে। সল্টলেকের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।’’ দেখা গেল মমতার ধমকের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে সল্টলেকে।

Advertisement

তবে প্রশাসনের অন্দরে অনেকের বক্তব্য, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বিবিধ নির্দেশ দিয়েছিলেন। পদক্ষেপও করা হয়েছিল। কিছু দিন যাওয়ার পর যে কে সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন পদক্ষেপ করা হলেও, কত দিন তা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয়ী প্রশাসনের অনেকে। তবে সোমবারের বৈঠকের পরে সামগ্রিক ভাবে তৃণমূলও আলোড়িত। মমতা সোমবার এ-ও বলেছিলেন, ‘‘এক দিনেই সবটা হবে না। আমি ১৫ দিন দেখব!’’ তাঁর নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে কি না, তা দেখতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement