অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করেছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি ফেসবুক থেকে।
রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে ২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে একের পর এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এই তথ্য জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘ভয় পাওয়ার কারণ নেই। অযথা আতঙ্কিত হবেন না।’’
গত কয়েক দিন ধরেই অ্যাডিনোভাইরাস ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের অসুখে বেশ কয়েক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী অবশ্য বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত এই ধরনের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৩। এর মধ্যে মাত্র ১২টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের (শ্বাসযন্ত্রে মারাত্মক রকমের সংক্রমণ) কারণে।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘১২টি কেসের মধ্যে ২টি অ্যাডিনোভাইরাস। ১০টা হচ্ছে কোমর্বিডিটির কারণে। নানা রকম উপসর্গ রয়েছে। কোনওটা পালমোনারি হেমারেজ, ওজন কম। অধিকাংশ এগুলোই। ভয় পাওয়ার কারণ নেই।’’
অ্যাডিনো মোকাবিলায় রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘৫ হাজার বেড তৈরি রাখা হয়েছে। ৬০০ শিশু চিকিৎসক প্রস্তুত রয়েছেন। করোনা একটা আতঙ্ক। তার পর যা-ই হচ্ছে, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। টাইফয়েড, পক্স, হাম তো হয়ই। আমাদের যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা তো মাস্ক পরতে পারে না। তাই বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভাল।’’
আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিবও। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি অনেক ডাক্তার, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরাও বলেছেন, আতঙ্কের কারণ নেই। আমরা প্রথম থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি। সব রাজ্যেই এটা হচ্ছে।’’ যে কোনও সমস্যা হলে ২৪ ঘণ্টার ফোন নম্বর চালু করা হয়েছে। ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে সহযোগিতা মিলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।