তৃণমূলের পাশে থাকার কথা বললেন জেলবন্দি পার্থ। ছবি— পিটিআই।
দীর্ঘ কারাবাসের গ্লানি সত্ত্বেও তিনি দলের পাশেই আছেন। প্রায় প্রতি সুযোগেই প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়ে দিতে দ্বিধা করেননি তৃণমূলের ‘অপসারিত’ মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আদালত যাওয়ার পথে গাড়িতে ওঠানোর সময় তৃণমূলের একদা ‘নম্বর টু’ বলে দিলেন, ‘‘তৃণমূল দল থাকার, থাকবে। আরও বাড়বে।’’
তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দু’টি বাড়ি থেকে থরে থরে নোটের বান্ডিল উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই দল পার্থকে নিয়ে কার্যত নীরব। মন্ত্রিপদ আগেই গিয়েছে। হারিয়েছেন দলের মহাসচিব পদও। এহ বাহ্য, মহাসচিব পদটিই আপাতত তুলে দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু পার্থের দলের প্রতি আনুগত্যে কোনও ফারাক হয়নি। তৃণমূল সচেতন ভাবে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করলেও পার্থ যে তৃণমূলের কাছাকাছিই থাকতে চাইছেন, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে। বৃহস্পতিবার তা আরও এক বার প্রকাশ্যে এল।
বৃহস্পতিবার, আদালতের গরাদ থেকে বার করে পার্থকে আদালতে আনার জন্য একটি গাড়িতে তোলার তোড়জোড় চলছিল। আশপাশে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা। পার্থকে ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম। এই পরিস্থিতিতে পার্থ গাড়ির দরজা ধরে অভ্যস্ত ভঙ্গিতে বসতে গিয়েই থেমে যান। একটি প্রশ্নের জবাবে মৃদু স্বরে বলে ওঠেন, ‘‘তৃণমূল দল থাকার, থাকবে। আরও বাড়বে।’’
এ বারই প্রথম নয়। এর আগেও যখনই সুযোগ পেয়েছেন, দলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। গত বছরের শেষ দিকে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ করেছিলেন। দিয়েছিলেন ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’। সর্বত্র যখন কী হয়, কী হয় ভাব, সেই আবহেও শুভেন্দুর ডেডলাইন উড়িয়ে পার্থই বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। কেউ পারবে না।’’ তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে জনতাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি কখনওই। এ বারও যে তার ব্যতিক্রম হবে না তা বলাই যায়।