গোয়ার রুদ্রকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় বিধানসভার নির্বাচন। সেই কারণে গোয়ায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়িয়েছে তৃণমূল। মঙ্গলবার রাতেই গোয়া গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে গোয়ার সানকুলামের রুদ্রকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। তার পরেই দিলেন ধর্ম থেকে রাজনীতিকে বাদ রাখার বার্তা। পুজো দিয়ে কি তিনি গোয়ায় কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করবেন? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ‘‘এখন দলের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি গোয়ায় নেই। আপনারাও জানেন, এই সময় কোনও কর্মসূচি তৃণমূল রাখেনি। আমার মনে হ্য়, মন্দির মসজিদ গির্জায় রাজনীতি হয় না। আপনার মনে যাঁর প্রতি আস্থা রয়েছে, সেই আস্থা থেকেই আমরা মন্দির, গুরুদ্বার, মসজিদ ও গির্জায় যাই।’’ তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, ধর্ম ও রাজনীতিকে মিলিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। ধর্ম নিজের জায়গায় থাকুক। ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিলিয়ে দেখাও ঠিক না। রাজনীতির প্রচার রাজনীতির ময়দানেই হওয়া উচিত।’’ কোনও উৎসবের সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি রাখে না তৃণমূল। বছর শেষে গোয়ায় বড়দিনের উৎসবের সঙ্গে নতুন বছরের আগমনের জন্য নানা সামাজিক অনুষ্ঠান চলছে। তাই অভিষেক সেখানে গেলেও কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি রাখা হয়নি।
বুধবার পুজো দিয়ে তিনি গোয়ার জন্য প্রার্থনা করেছেন বলে দাবি করলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখানে গোয়ার মানুষের কল্যাণের পাশাপাশি, রাজ্যের উন্নতি, সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেছি। আমি মন্দিরে এসেছিলাম একজন নাগরিক হিসেবে, ভারতীয় হিসেবে। একজন দর্শনার্থী রূপে ভগবানকে পুজো নিবেদন করতে এসেছিলাম। আমার এখানে এসে ভাল লাগল। সবাই একত্রে থেকে রাজনীতির ময়দান থেকে ধর্মকে দুরে রাখার অনুরোধ করব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গোয়ার একতা, অখণ্ডতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও অগ্রগতি যেন বহাল থাকে। গোয়ার আগামীর দিন বা নতুন বছর সুখকর হোক। সবার জীবনে সুখ আসুক। আমি সেই লক্ষ্যেই প্রার্থনা করেছি।’’ বুধবার বিকেল পাঁচটায় কোঙ্কন এলাকার শ্রী সংস্থান গোকর্ণ পর্তগলি জীবোত্তম মঠে যাবেন অভিষেক।