বৃহস্পতিবার আমতলার দলীয় বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী কী দিয়েছে আর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার কী কী দেয়নি, ভোটারদের তা বোঝানোর পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁর। সেখানেই কর্মীদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সেনাপতি।
তৃণমূলের ‘দুর্গ’ হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানেই গত কয়েক দিন ধরে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর এবং সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর বৈঠক ছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, কী ভাবে ভোটের জন্য প্রচার করতে হবে, কর্মীদের সেই পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘আমি গত ১০ বছরে আমার কেন্দ্রে কী কাজ করেছি, তা আপনারা সকলেই জানেন। ভোটারদের কাছে গিয়ে সে সব বলুন। তাঁদের বোঝান। কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। মমতার সরকার সেই টাকা নিজে থেকে দিচ্ছে। মানুষকে সেটাই জানান। আমরা কী দিতে পেরেছি, মোদী সরকার কী দিতে পারেনি, সেটাই ভোটে তফাত গড়ে দিতে পারবে।’’
বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডলের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
অভিষেক বৈঠকে জানিয়েছেন, সাতগাছিয়া এবং বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা যে অনেক বেশি হবে, এই কেন্দ্রগুলিই যে তাঁকে লড়াইয়ে এগিয়ে দেবে, তাতে তাঁর কোনও সন্দেহ নেই। তবে নিশ্চিন্ত হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ তৃণমূল সেনাপতি। তাই তৃণমূল সরকারের কাজ নিয়ে মানুষের কাছে প্রচারে জোর দিয়েছেন তিনি।
বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমাদের ভোট পরিচালনার নির্দিষ্ট একটা পদ্ধতি রয়েছে। কোন বুথে কে দায়িত্ব নেবেন, কে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন, কে ভোটার স্লিপ দেবেন, সব ঠিক করা আছে। তাই আমাদের ভোটে কোনও অসুবিধা হবে না। অভিষেক যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা সে ভাবেই কাজ করব। আশা করি, গত বারের চেয়ে অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে ওঁকে আমরা জেতাতে পারব।’’
বুধবারও আমতলায় দলীয় স্তরে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। বুথ ধরে ধরে ভোটবৃদ্ধির বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। নেতা-কর্মীদের ‘লক্ষ্য’ নির্দিষ্ট করে দিয়ে অভিষেকের বার্তা, ‘‘ডায়মন্ড হারবারে যা কাজ হয়েছে, আর কোনও কেন্দ্রে হয়নি। মানুষকে সে কথা বলতে হবে।’’ ডায়মন্ড হারবারকে আগেই উন্নয়নের ‘মডেল’ হিসাবে তুলে ধরেছেন অভিষেক। সেই কেন্দ্রে লোকসভার সাফল্য নিয়েও তাই তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।