Students

শীতে পড়ুয়াদের খালি পা, সরব কেন্দ্রীয় দল

কেন্দ্রের একটি দল সম্প্রতি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছে। তাদের রিপোর্টে দাবি, তালড্যাংরার মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশকে খালি পায়ে স্কুলে যেতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৬:০৯
Share:

তালড্যাংরার মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়।

এক দিন সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে কেন্দ্রীয় দলকে ‘গেরুয়া রঙে রাঙানো’ বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। পরের দিনই প্রশংসা পেয়ে লিখলেন, ‘আমরা যে ভাল কাজ করেছি, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন’। শিক্ষামন্ত্রীর এমন দুই মন্তব্যের মধ্যে কিন্তু সামনে এসেছে দুই আদিবাসী প্রধান জেলার শিক্ষা পরিকাঠামোর ছবি, যেখানে দেখা যাচ্ছে, কনকনে ঠান্ডায় খালি পায়ে স্কুলে ঘুরছে পড়ুয়ারা।

Advertisement

কেন্দ্রের একটি দল সম্প্রতি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছে। তাদের রিপোর্টে দাবি, তালড্যাংরার মুগাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশকে খালি পায়ে স্কুলে যেতে দেখা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, ৪৩ জন পড়ুয়ার বেশিরভাগেরই পায়ে জুতো নেই। অথচ পড়ুয়াদের পোশাক ও জুতো বিনামূল্যে দেয় রাজ্য। তৃতীয় শ্রেণির জয় ঘোষের দাবি, ‘‘প্রতি বছর পোশাক পেলেও জুতো একবারও পাইনি।’’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকুমার ভৌমিক মন্তব্য করতে চাননি। তবে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (তালড্যাংরা পশ্চিম চক্র) নন্দিতা সিংহের দাবি, ‘‘দু’বছর অন্তর জুতো বিলি হয়। এ বার পর্যাপ্ত জুতো আসেনি বলে বিলি করা হয়নি।’’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, প্রায় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার পড়ুয়ার জন্য জুতো চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এখনও আসেনি।

Advertisement

পরিদর্শক দলের নেতৃত্বে থাকা কেন্দ্রের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা এম এল সোনির আরও অভিযোগ, ‘‘বাঁকুড়ার সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর এলাকার একটি স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে কেনা কম্পিউটার পড়ে রয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে শৌচালয় অপরিষ্কার। বহু স্কুলে খোলা আকাশের নীচেই মিড-ডে মিল রান্না করা হচ্ছে। ’’ যদিও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, প্রায় সব স্কুলেই মিড-ডে মিল রান্নার আলাদা ঘর রয়েছে।

কেন্দ্রীয় দলটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ব্রাত্য দাবি করেছিলেন, “ওঁরা (কেন্দ্রীয় দল) জানেন না, রাজ্য সব সরকার পোষিত স্কুলে পোশাক ও জুতো দেয়।’’ জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “মকর সংক্রান্তির মধ্যে পড়ুয়ারা জুতো না পেলে আমি নিজেই দেব।’’ মিড-ডে মিল নিয়ে ব্রাত্যর দাবি, “কেন্দ্র মিড-ডে মিলের পরিকাঠামো গড়তে অর্থ বরাদ্দ করেনি। রাজ্যই সমস্ত স্কুলে রান্নাঘর তৈরি করবে।’’ সুভাষের পাল্টা, ‘‘শিক্ষা মন্ত্রকের রুশা ১ ও রুশা ২ প্রকল্পে রাজ্য বরাদ্দ টাকার কাজ করতে পারছে না।”

কেন্দ্রীয় দলের প্রশংসা পেয়ে এক্স হ্যান্ডলে ব্রাত্যের পোস্ট, ‘কেন্দ্রের যে পর্যবেক্ষক দল এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে যে ভাল কাজ করছি, সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন এবং রিপোর্টে লিখছেন’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement