প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল শহরে। শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে মারা যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার বাসিন্দা, দশম শ্রেণির পড়ুয়া সায়ন হালদার। সায়নের মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা হয়েছে ‘ডেঙ্গি শক সিনড্রোম’-এ তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে পর পর দু’দিন শহরে দু’জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল। বৃহস্পতিবার সকালে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অর্চনা দেবী নামে উত্তরপ্রদেশের এক তরুণী ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
সায়নের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল সে। রাত করে বাড়ি ফিরে সে জানায়, তার শরীর ভাল লাগছে না। ভোরের দিকে তার প্রবল জ্বর আসে। সায়নের পরিবার চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিলে তখনকার মতো জ্বর ছেড়ে যায়। কিন্তু, দশমীর দিন তার আবার জ্বর আসে। সঙ্গে শুরু হয় বমি। প্রথমে তাকে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে নাগেরবাজার এলাকার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে ডেঙ্গি চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকায় তাকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে।
প্রতিদিনই শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শেষ কয়েক সপ্তাহ এমন প্রবণতা দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে। বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে বিক্ষিপ্ত কয়েক পশলা বৃষ্টি একটি বড় কারণ বলে জানাচ্ছেন সংক্রামক রোগের চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী। তিনি জানান, টানা ভারী বৃষ্টি হলে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশা এডিস ইজিপ্টাইয়ের বংশবিস্তার সম্ভব হত না। কোথাও মশার লার্ভা জন্মালেও সেগুলি ভেসে যেত। কিন্তু তা না হওয়ার ফলেই ক্রমশ প্রকোপ বাড়ছে। তাঁর মতে, অক্টোবর, নভেম্বর জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ ভাল মতোই চলবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কিছুটা কমবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৭৮ জন। গত সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৭৪৪।