হরিদেবপুর কাণ্ডে ধৃতদের পুলিশি হেফাজত। —ফাইল ছবি
হরিদেবপুরকাণ্ডে ধৃত ৫ জনকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ২ জন নাবালক। বাকিদের ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার আদালতে হাজির করানো হয় হরিদেবপুর-কাণ্ডে ধৃতদের। মৃত অয়ন মণ্ডলের বান্ধবী, তাঁর মা রুমা জানা, ভাই (নাবালক)-কে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। শনিবার সকালে পুলিশ বান্ধবীর বাবা দীপক জানা, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু এবং পণ্যবাহী গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করে। পরে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের আরও এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় ওড়িশা থেকে। সূত্রের খবর, তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
শনিবার আদালতে সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল জানান, অভিযুক্তেরা যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ ও আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। সূত্রের খবর, মৃতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। ইট ও রড দিয়ে মারধরের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ধৃতরা সকলেই খুনের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে তাদের ধারণা, আরও কেউ কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তাঁদের খোঁজ চলছে।
অন্য দিকে, অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে। অয়নের মৃত্যু আদৌ পরিকল্পিত হত্যা নয়, তাকে অনিচ্ছাকৃত খুন বলা যেতে পারে। তিনি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে। অভিযুক্ত বান্ধবীর ভাইয়ের বন্ধুর আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল বন্ধুর ডাকেই গিয়েছিলেন। তিনি এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানতেন না। গাড়ি কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা-ও তিনি জানতেন না। তাই তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া উচিত। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।