ছবি: সংগৃহীত।
মালদহের বার্লো বালিকা বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীর ভাইরাল ভিডিয়ো কাণ্ডে পদক্ষেপের বিষয়টি স্কুল পরিচালন সমিতির কোর্টে ঠেললেন শিক্ষিকারা। শনিবার একটি বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষিকাদের বৈঠকে ছিল চার ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা। লিখিত ভাবে ওই চার ছাত্রী ক্ষমা চেয়েছে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন অভিভাবকেরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেবেন।
স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, একাদশ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে। ওই ছাত্রীরা আপাতত পরীক্ষায় বসতে পারবে। তার পরে পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রুখতে স্কুলে মোবাইল আনা নিয়ে আরও কড়াকড়ি করা হবে বলে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল সূত্রে খবর, শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক চলে। শিক্ষিকারা অভিভাবক ও ছাত্রীদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার বলেন, ‘‘ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ছাত্রীরা ক্ষমা চেয়েছে। কিন্তু এ সব ঘটনায় পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার স্কুল পরিচালন সমিতির।’’ তিনি জানান, সমিতির সভাপতি ইংরেজবাজারের এক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক। তিনি ছুটিতে রয়েছেন। ফিরলে পরিচালন সমিতির বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বারাসতের মহাত্মা গাঁধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলেও গত বুধবার শ্রেণিকক্ষে কিছু পড়ুয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে অশালীন ভাবে বিকৃত করে গেয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুলের পোশাকে তাদের গাওয়া ওই গানের ভিডিয়ো তুলেছিল কেউ। শনিবার তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আলি আহসেন জানান, এখন স্কুল বন্ধ। সামনের সপ্তাহে স্কুল খুললে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।