পোষ্যের আচার-আচরণ, মন বুঝবেন কী ভাবে? ছবি:ফ্রিপিক।
দিনের শেষে মনিব বাড়ি ফিরলে পোষ্য কুকুর তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, লেজ নাড়বে — এমন আচরণের অর্থ সকলেই বোঝেন। রেগে গেলে কুকুরের বিশেষ ডাকের সঙ্গেও সকলে পরিচিত।
কিন্তু এর বাইরে পোষ্যের আচার-আচরণের অর্থ বোঝেন কি? আদরের জীবটি ভাল আছে, খুশিতে আছে, তা বোঝার আর কোন উপায় আছে ?
পোষ্যের শরীরী ভাষা
বাড়ির লোকের গায়ে ওঠার চেষ্টা করছে, লেজ উঁচিয়ে লাফাচ্ছে, ডাকছে — এমন আচরণের অর্থ সারমেয় বেশ ভালই আছে। সেই মুহূর্তটি সে উপভোগও করছে। বিড়ালের ক্ষেত্রে অবশ্য খুশির বহিঃপ্রকাশ খানিক আলাদা। গায়ের কাছে এসে মিউ মিউ করা, নিশ্চিন্তে থাবা চাটা বা থাবায় মাথা রেখে নিশ্চিত ভঙ্গিতে শুয়ে থাকলে বুঝতে হবে, পোষ্য বেশ সুখেই আছে।
খিদে এবং খাদ্যাভ্যাস
পোষ্যের খাওয়াদাওয়ায় রুচি আছে তো! মাঝেমধ্যে এক-আধ দিন খাওয়ার ইচ্ছা না-ও হতে পারে। কিন্তু দিনের পর দিন তেমন হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। হতে পারে তার পেটের সমস্যা হয়েছে কিংবা কোনও কারণে তার মনখারাপ। পোষ্যের মনের ভাষা বুঝতে না পারলে খুব অসুবিধা। তাদেরও উদ্বেগ, অবসাদ হয়। সাধারণত চনমনে ভাব, খাওয়ার ইচ্ছা ঠিক থাকলে ধরে নেওয়া যায়, তার কোনও অসুবিধা নেই।
পোষ্যের সাজগোজ
আদরের বিড়াল নিজেকে কি পরিচ্ছন্ন রেখেছে? নিয়ম করে পোষ্যকে স্নান করানো বা শ্যাম্পু করানো হলেও তারা নিজেরাই নিজেদের শরীর পরিষ্কার রাখে। বিড়াল জাতীয় পশু জিভ দিয়ে চেটে চেটে থাবা, গা পরিষ্কার করে। ত্বকের সংক্রমণ রুখতে পোষ্যদের স্বভাবজাত অভ্যাসটি কাজে আসে। আপনার বাড়ির বিড়াল নিজের যত্ন করলে, বুঝতে হবে তার মেজাজ ঠিকই আছে।
খেলাধুলা
প্রথম দিকে একটু হাঁকডাক করতে পারে কুকুর। তবে খানিক পরে যদি সে শান্ত হয়ে নতুন অতিথিদের সঙ্গে মিশে যায়, খেলা করে, তা হলে বুঝতে হবে সারমেয় খুশিতেই আছে। মন ভাল থাকলে তার মধ্যে খেলাধুলো করার, মেলামেশার প্রবণতা তৈরি হবে।
ঘুমের সময় শরীরী ভাষা
ঘুমের সময় পোষ্যের শরীরী ভাষা দেখেও বোঝা যায় অনেক কিছু। যদি সারমেয় বা মার্জার আরাম করে ঘুমোয়, বুঝতে হবে তার মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। তবে ঘুমের সময় যদি কোনও পা মুড়ে রাখে বা কোনও এক দিকে কাত হয়ে থাকে, কিংবা যদি মনে হয় নড়াচড়ায় সমস্যা হচ্ছে, তা হলে সাবধান হওয়া দরকার। কখনও পায়ে বা কোথাও চোট লাগলে, এমন হতে পারে।