ফাইল ছবি
৩০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোট কর্মী নিয়ে চার পুরসভায় নির্বাচন করাবে কমিশন। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ থাকছে।
এক জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হাই কোর্টের কাছে একটি হলফনামা পেশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই হলফনামায় কমিশন জানায় কোভিড-স্ফীতিতে কী ভাবে পুর ভোট করানো হবে। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থী ও তাঁর এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট-সহ ভোট কর্মীদের দু’টি টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কমিশন ওই হলফনামায় জানিয়েছে, এক একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আনুমানিক ৪৫০ থেকে ১২০০-র মতো ভোটার আছেন। ভোটাররা ভোট দেবেন ‘ব্যাচ’ হিসেবে। অর্থাৎ মাত্র এক জন ভোটারকেই পোলিং অফিসারের সামনে দাঁড়াতে দেওয়া হবে। ভোটের লাইনের ক্ষেত্রেও শারীরিক দূরত্ব থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ ছাড়া গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ভোটগ্রহণের অন্তিম এক ঘণ্টা সময়ে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। করোনা আক্রান্ত রোগীরাও সেই সময় ভোট দিতে পারবেন। সে কারণে ওই সময় ভোট কর্মীরা পিপিই পরে থাকবেন।
পুরো বিষয়টি জানিয়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচার চালানো হবে বলে কমিশন জানিয়েছে। আসন্ন পুরভোটে চারটি পুরসভায় মোট বুথ ২০৮৩টি। ভোট কেন্দ্র ৮৮৪টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১৯,৩৬,৪৬২ ।