বুস্টার টিকা পাইয়ে দেওয়ার নামে চলছে প্রতারণা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বুস্টার টিকা দেওয়ার নামে আসছে ফোন। ইচ্ছে প্রকাশ করলেই পাঠানো হচ্ছে লিঙ্ক। চাওয়া হচ্ছে ওটিপি। তবে ওটিপি পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই উধাও হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্কে রাখা টাকা। এ ভাবেই বুস্টার টিকার নামে প্রতারণা করার নতুন উপায় খুঁজে নিয়েছেন প্রতারকরা। আর তা রুখতে এ বার তৎপর কলকাতা পুলিশ। প্রতারণা রুখতে জনসাধারণকে সচেতনতা বার্তাও দিল লালবাজার।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দমন শাখা) মুরলীধর শর্মা একটি টুইট বার্তায় লেখেন, ‘প্রতারকরা জনসাধারণকে ঠকানোর নতুন উপায় বের করেছেন। ফোন বা মেসেজ করে বুস্টার ডোজ দরকার কি না তা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। উত্তর হ্যাঁ হলে, একটি লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে এবং লিঙ্কটিতে ক্লিক করার পরে ওটিপি চাওয়া হচ্ছে। আপনারা সতর্ক থাকুন, এটি আপনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি চক্রান্ত। এ রকম ফোন বা মেসেজ এলে কোনও লিঙ্ক ডাউনলোড করবেন না এবং ওটিপি শেয়ার করবেন না।’
ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত দেখে সম্প্রতি সরকার ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার টিকার কথা ঘোষণা করেছে। তার পর থেকেই বেশ সক্রিয় হয়েছে একটি প্রতারণা চক্র। বিনামূল্যে বুস্টার টিকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তারা বেছে বেছে বয়স্কদের শিকার বানাচ্ছে।
সম্প্রতি মুম্বইয়ে এমনই ঘটনার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এ বিষয়ে মুম্বই পুলিশ ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছে। দেশের শীর্ষ স্তরের এক সাইবার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, টিকাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি একটা নতুন ধরনের প্রতারণা প্রকাশ্যে এসেছে। অপরাধীরা বয়স্কদের শিকার হিসেবে বেছে নিচ্ছে। জানা গিয়েছে, অপরাধীরা প্রথমে শিকার বেছে নিয়ে তাঁদের ফোন করছে। ফোন করেই নিজেদের সরকারি কর্মী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। এর পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দু’টি টিকার তারিখ, কোথা থেকে সেই টিকা নিয়েছেন ইত্যাদি তথ্য চটপট করে বলে দিচ্ছে। আর সত্যিই সত্যিই সেই তথ্যগুলি মিলে যাচ্ছে দেখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিষয়টিকে সত্যি ধরে নিচ্ছেন। তাঁকে এমন ভাবে বোঝানো হচ্ছে যে, সত্যিই সরকারের তরফে ফোন করে বিষয়টি জানানো হচ্ছে।
টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার হলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট দফতর বা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করাই উচিত বলে জানাচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ, পুলিশ এবং প্রশাসন।