জাল নোটের কারবারে জড়িত বাকিদের হদিস পেতে চেষ্টা শুরু করছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
২,০০০ টাকার জাল নোট-সহ ভাটপাড়ার তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে বর্ধমান স্টেশনে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে তাঁদের পাকড়াও করেন বারাকপুর কমিশনারেটের অধীন ভাটপাড়া থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর কমিশনারেটেই ওই থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ রাজু ওরফে রাজুয়া, মহম্মদ আমিন হোসেন ওরফে আমন এবং মহম্মদ মইনুদ্দিন ওরফে গবরা। তাঁদের কাছ থেকে ১৮টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি। গ্রেফতারির পর তাদের বর্ধমান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রবিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে হাজির করা হয়। আরও জাল নোট উদ্ধার করতে এবং এই কারবারে জড়িত বাকিদের হদিস পেতে ধৃতদের দশ দিন নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। তবে ধৃতদের ছ’দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত তিন জনই দাগি অপরাধী বলে পরিচিত। এলাকায় বসিরুদ্দিন নামেও পরিচিত রাজুর বাড়ি ভাটপাড়ায়। অন্য দিকে, মইনুদ্দিন এবং আমিন সম্পর্কে বাবা-ছেলে। রাজু এবং আমিনের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন-সহ অস্ত্র আইনের বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। পুলিসের খাতায় ‘শার্প শ্যুটার’ হিসাবে নাম রয়েছে তাঁদের। ভাটপাড়া এবং নৈহাটি জিআরপিতে অপহরণ করে খুন ও অস্ত্র আইনের দু’টি মামলা রয়েছে রাজুর এবং আমিনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া, জগদ্দল থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে নানা সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। রাজুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক থাকলেও তাঁর হদিস পাচ্ছিল না পুলিশ।
শনিবার রাতে ভাটপাড়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, রাজু, আমিন এবং মইনুদ্দিন বর্ধমান স্টেশনে রয়েছেন। সেখান থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে তাঁদের বিহারে পালানোর পরিকল্পনাও ছিল বলে দাবি পুলিশের। সেই খবর পেয়ে বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছয় ভাটপাড়া থানার একটি দল। সেখানে পৌঁছনোর পর তিন জনকে দেখিয়ে দেন পুলিশের ‘সোর্স’। তাঁদের সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন। চার জনকেই ঘিরে ফেলে পুলিশ। তবে কোনও রকমে ওই মহিলা পালিয়ে যান। এর পর তিন জনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, পলাতক মহিলা আমনের মা। এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভাটপাড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুব্রত হালদার।