ফাইল চিত্র।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা-বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে শিশুদের চিকিৎসার জন্য তিনটি উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরি করছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতাল ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হবে ওই তিন কেন্দ্র। রাজ্যের অন্য যে-সব হাসপাতালে শিশু করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে, সেগুলিকে যুক্ত করা হবে ওই সব উৎকর্ষ কেন্দ্রের সঙ্গে।
স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, এই চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় শিশুরোগ চিকিৎসক অরুণ সিংহের পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে সরকার। ২০১২ সালে বাংলা ছেড়ে দিল্লি চলে গিয়েছিলেন শিশুরোগের ওই চিকিৎসক। তিনি রাজ্যে ফিরেছেন। এসএসকেএমে ‘ইনস্টিটিউট অব পেরিনেটোলজি’ বিভাগ চালু হচ্ছে। শীঘ্রই সেই বিভাগের প্রধান ও পরামর্শদাতা হিসেবে যোগ দেবেন অরুণবাবু। এক মহিলার অন্তঃসত্ত্বা হওয়া থেকে শুরু করে সন্তানের জন্মদান এবং সেই শিশুর এক বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসার সুযোগ থাকছে ওই বিভাগে। এ ছাড়াও শিশুটির ছ’বছর বয়স পর্যন্ত বুদ্ধির বিকাশ কতটা হচ্ছে, সেই বিষয়েও খোঁজখবর রাখবেন ওই বিভাগের চিকিৎসকেরা।
রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখে ইতিমধ্যে শিশুদের কোভিড চিকিৎসার বিভিন্ন পরিকাঠামো তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি হাসপাতালগুলিতে পেডিয়াট্রিক ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (পিকু), এইচডিইউ, সিক নিয়োনেটাল ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ), নিওনেটাল ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (নিকু)-এর শয্যা বাড়ানো হয়েছে। কোথাও কোথাও নতুন ভাবে তা তৈরি হয়েছে। শিশুদের চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে, সেই বিষয়ে শিশুরোগের চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের নেতৃত্বে একটি কমিটি আগেই গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বৈঠক করেন অরুণবাবুর সঙ্গে। কী রকম পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে, আরও কী উন্নতি করা যায়— সেই বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।