স্বরূপনগরে তরুণীকে হেনস্থা এবং শ্লীলতাহানির ঘটনায় ধৃত ভিলেজ পুলিশ(বাঁ দিকে) এবং সিভিক ভলান্টিয়ার। — নিজস্ব চিত্র।
বসিরহাটে তরুণী এবং তাঁর বাবাকে হেনস্থার অভিযোগ। তাঁদের কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়েও নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই তরুণী। এই ঘটনায় এক পুলিশকর্মী (ভিলেজ পুলিশ) এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তরুণী এবং তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে বসিরহাটে এসেছিলেন ওই তরুণী এবং তাঁর বাবা। তাঁদের গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ। স্বরূপনগরের সীমান্তবর্তী গ্রাম স্বরূপদহে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের পথ আটকান গ্রামের এক পুলিশকর্মী এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশকে ওই তরুণী জানিয়েছেন, দু’জন মিলে তাঁদের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তরুণীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর এবং তাঁর বাবার কাছে নগদ যা টাকা ছিল, তা জোর করে নিয়ে নেওয়া হয়। এর পর অনলাইনেও টাকা দিতে বলা হয় তাঁদের। মোট ৪৬ হাজার টাকা তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে, থানায় জানিয়েছেন তরুণী।
অভিযুক্তেরা চলে গেলে রাস্তায় বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন তরুণী এবং তাঁর বাবা। স্থানীয় যুবকদের সাহায্যে থানায় পৌঁছন তাঁরা। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভিলেজ পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বুধবারই হাজির করানো হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। ধৃতদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে তুলে দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই প্রশ্ন উঠেছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়েও। সুপ্রিম কোর্টেও সিভিক নিয়োগ সমালোচিত হয়েছে। তার মাঝেই আবার তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত এক সিভিক।