—প্রতীকী চিত্র।
বিহারে ‘বিষ মদ’ পান করে ফের মৃত্যু হল ৮ জনের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে উল্লেখ, মৃতদের মধ্যে ছয় জন সিওয়ান জেলার বাসিন্দা। বাকি দু’জন সারন জেলার। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও একাধিক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা আধিকারিকদের।
বিষ মদ পান করে অসুস্থ ১৫ জনকে প্রথমে সিওয়ানের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তিন জনের শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হতে থাকায় তাঁদের পটনার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সিওয়ানের ওই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। কী ভাবে বিষ মদের কারবার চলত? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের নজরদারির অভাবের অভিযোগও উঠেছে। সিওয়ানের জেলাশাসক মুকুলকুমার গুপ্ত সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ভগবানপুর থানার এসএইচও-র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। প্রায়শই সেখানে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি বিষ মদ পানের কারণে মৃত্যু ঘটনা ঘটে। বিহার সরকার সম্প্রতি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করার পর থেকে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সব থেকে মারাত্মক পরিস্থিতি হয়েছিল ২০২২ সালে। সারান জেলায় বিষ মদ পান করে অন্তত ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই বছর। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সেই সময় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন— যেহেতু রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ, তাই বিষ মদে মৃতদের পরিবারকে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। এ দিকে বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় বিহারে মদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি উঠেছে।