ক্লাস নিচ্ছেন সুন্দরবন জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি বাপি হালদার। তিনি এলাকার গৃহশিক্ষকদের নিয়েও হাজির হন স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।
বকেয়া ডিএ-সহ গুচ্ছ দাবিতে শুক্রবার ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-এর ডাকে ধর্মঘট চলছে। তাতে সাড়া দিয়ে স্কুলে আসেননি কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য পদক্ষেপ করলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি। চক-ডাস্টার হাতে নিজেই পড়ুয়াদের ক্লাস নিলেন তিনি। ঘটনাস্থল সুন্দরবনের রায়দিঘির কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল।
শুক্রবার রাজ্য জুড়ে সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট চলছে। তার জেরে স্কুলে আসেননি রায়দিঘির কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু পড়ুয়ারা সময় মতো স্কুলে হাজির। শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে গমগম করছে ক্লাসঘর। দুষ্টুমি শুরু করেছে কচিকাঁচারা। সেই সময় দেখা গেল আকাশি রঙের শার্ট আর নীল রঙের ট্রাউজার্স পরা এক ব্যক্তি হনহন করে একটি ক্লাসঘরে ঢুকে গেলেন। পড়ুয়ারা চুপ। ওই ব্যক্তি হাতে তুলে নেন শিক্ষকের টেবিলে রাখা চক-ডাস্টার। শুরু করেন পড়ানো। পরে জানা যায় এই ‘শিক্ষক’ সুন্দরবন জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি বাপি হালদার।
শুধু তিনিই একা নন। এলাকার গৃহশিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে পুরোদমে সব ক্লাসের পঠনপাঠন চালু করেন। এমনকি তিনি নিজেও একটি ক্লাস নেন। তৃণমূল যুব নেতা বলেন, ‘‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তাদের দাবি নিয়ে ধর্মঘট ডাকার ফলে শুক্রবার শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে আসেননি। সেই খবর পাই। তার পর চলে এসেছি।’’ প্রসঙ্গত, বাপি তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতির পাশাপাশি কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতিও।
অন্য দিকে, এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, স্কুলে পরিচালন সভাপতি এ ভাবে ক্লাস নিতে পারেন কি না।