পরিবারের আহত সদস্যকে নিয়ে হাসপাতালে। — নিজস্ব চিত্র।
ভোট মিটতেই তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাসন্তীতে এক গোষ্ঠীর উপর চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। মারের চোটে আহত বেশ কয়েক জন। তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। বাসন্তী থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও গ্রামে এখনও উত্তেজনার পরিবেশ।
লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই মাদার এবং যুবর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাসন্তী। সেখানে যুব তৃণমূল নেতা গফর মোল্লার সঙ্গে তৃণমূল নেতা হায়দর নাইয়ার গোষ্ঠীর বিবাদ বেশ পুরনো। সেই বিবাদই আরও এক বার প্রকাশ্যে চলে এল। অভিযোগ, হায়দরের অনুগামী ৭ নম্বর কুমড়োখালি গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর লস্কর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করেন গফরের অনুগামীরা। ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য একটি কংক্রিটের রাস্তা রয়েছে। কিন্তু যে হেতু আনিসুরেরা হায়দরের অনুগামী, তাই তাঁদের ওই রাস্তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বাধ্য হয়ে ওই তৃণমূল কর্মী পরিবার নিয়ে পাশের মাটির রাস্তা ব্যবহার করতেন। সম্প্রতি ঝড়বৃষ্টির জেরে মাটির রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়েই আনিসুর নিজের টোটো নিয়ে কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই খবর পৌঁছে যায় অন্য গোষ্ঠীর কাছে। অভিযোগ, তার পরেই দলবল নিয়ে হামলা হয় আনিসুরের বাড়িতে। আহতদের উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও গফর মোল্লা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
বাসন্তীতে মূল তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের যুব সংগঠনের নেতাদের বিরোধ পুরনো। দলীয় নেতৃত্বের একাধিক বার হস্তক্ষেপেও সেই বিরোধ মেটেনি। এই পরিস্থিতিতে আবারও প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ।