স্কুলের মধ্যে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বচসা। —নিজস্ব চিত্র।
মিড ডে মিলের চাল চুরির অভিযোগে শিক্ষককে স্কুলে তালাবন্দি করে রাখলেন স্থানীয়রা। এমনকি, চুরির অভিযোগে শিক্ষককে মারধরেরও অভিযোগ উঠল। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজুকবেড়িয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মিড ডে মিলের চাল চুরি করে শৌচাগারে লুকিয়ে রাখার সময় এক শিক্ষককে তাঁরা হাতেনাতে ধরেছেন। এই ঘটনায় কিছু ক্ষণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামবাসীরা শিক্ষকদের স্কুলে তালাবন্দি করে রাখেন। সেই সময় মারধরও চলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সমীরকুমার দে দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল থেকে চাল চুরি করছেন। তা ছাড়া পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। এ নিয়ে শনিবার একজোট হয়ে স্কুলে আসেন গ্রামবাসীরা। ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সমীর এবং সহ-শিক্ষক চৈতন্য পালকে আটকে রাখা হয়। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্য দিকে, স্কুলের সহ-শিক্ষক চৈতন্য পাল আবার অভিযোগ করেন, তাঁর সই জাল করে দিনের পর দিন ওই স্কুল থেকে চাল চুরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা মিড ডে মিলের খাতা দেখতে চান। সেই খাতায় যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রশ্ন করেন তাঁরা। অন্য দিকে, সহ-শিক্ষক নাগাড়ে দাবি করতে থাকেন যে তাঁর সই জাল করে চুরি করা হয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই ভাবে প্রতি দিন ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত দেখিয়ে তাদের মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চাল চুরি করে নিচ্ছেন শিক্ষকেরা। গ্রামের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘মিড ডে মিলের চাল শৌচাগারে রাখাই তো জঘন্য কাজ। চুরি যদি না করবেন, ওখানে চাল রেখেছেন কেন?’’ অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি, ওই দুই শিক্ষককে বদলি করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করেছেন।