—প্রতীকী চিত্র।
আয়ুর্বেদিক কফ সিরাপ খেয়ে ছ’জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল গুজরাতের খেড়ায়। নির্দিষ্ট ওই আয়ুর্বেদিক কফ সিরাপের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় সাত জন গ্রেফতার হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, খেড়ার বিভিন্ন গ্রামে হঠাৎই এই ‘আয়ুর্বেদ’ কফ সিরাপ বিক্রি শুরু হয়। প্রতি বোতলের দাম ছিল ১৩০ টাকা। প্রচারে ভুলে শয়ে শয়ে মানুষ ওই কফ সিরাপ কিনেছিলেন। কিন্তু তার পরেই বিপত্তি। শুক্রবার জানা গিয়েছিল, ওই কফ সিরাপ খাওয়ার পর মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় খেড়া জেলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে একাধিক প্রতিবেদনে প্রকাশ, কফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হয়েছে ছয়।
পুলিশের একটি তথ্য বলছে, কফ সিরাপ খেয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ২৯ নভেম্বর। মিতেশ চৌহান নামে এক জন মারা যান। তার আগের দিন রাতেই মিতেশ ও তাঁর ভাই কাশি কমানোর জন্য ওই সিরাপ খেয়েছিলেন। পরের দিন থেকে দু’জনেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। শুরু হয় বমি। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মিতেশের।
খেড়ির এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষার পর জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কফ সিরাপ খাওয়ার পরই শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ছ’জনের মৃত্যুও হয়েছে। ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, ইতিমধ্যে ওই আয়ুর্বেদিক সিরাপের বিক্রেতাদের ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, সুরাত পুলিশ ওই আয়ুর্বেদিক সিরাপের ২,১৯৫টি বোতল বাজেয়াপ্ত করেছে। ওই সিরাপ পরীক্ষা করে দেখার জন্য পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে ওই সিরাপ বাজারে এল, তারও তদন্ত চলছে।