Narendra Modi on Netaji

কলকাতার সেই বাড়ি ঘিরে তখন ব্রিটিশ পুলিশের কড়া পাহারা! ছদ্মবেশী নেতাজির কথা মোদীর ‘মন কী বাতে’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে উঠে এল স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানের কথা। কী ভাবে নেতাজি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কলকাতা থেকে গোমো স্টেশনে পৌঁছেছিলেন, সেই স্মৃতিচারণা করলেন মোদী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২২
Share:

নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে আলোচনা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীর আগে তাঁর ছদ্মবেশে কলকাতার বাড়ি ছাড়ার কথা উঠে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানে। ব্রিটিশ পুলিশ নেতাজিকে নিজের বাড়িতেই নজরবন্দি করে রেখেছিল। সেখান থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ছদ্মবেশধারী নেতাজি কলকাতা থেকে গোমো পৌঁছনোর সেই উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রার কথা রবিবারের বেতারবার্তায় স্মরণ করলেন মোদী।

Advertisement

সাধারণত প্রতি মাসের শেষ রবিবার মোদীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান হয়। তবে এ বারের শেষ রবিবার সাধারণতন্ত্র দিবস পড়েছে। তাই মাসের তৃতীয় রবিবারেই ‘মন কী বাত’ সম্প্রচারিত হয়েছে। রবিবারের বেতারবার্তায় নির্বাচন কমিশন, কুম্ভমেলা, সাধারণতন্ত্র দিবসের পাশাপাশি একটি বড় অংশ জুড়ে থেকেছে নেতাজির প্রসঙ্গ।

সুভাষচন্দ্রের গোমোযাত্রার কথা স্মরণ করে মোদী বলেন, “এক মুহূর্তের জন্য সেই দৃশ্যটি মনে মনে ভাবুন। জানুয়ারি মাসের কলকাতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চরম পর্যায়ে। ভারতেও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রাগ-ক্ষোভ চরমে পৌঁছে গিয়েছে। তাই শহরের প্রতিটি কোনায় কোনায় পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে শহরে একটি বাড়ির দিকে পুলিশের নজর আরও বেশি। তারই মধ্যে রাতের অন্ধকারে একটি লম্বা ঝুলের খয়েরি কোট, প্যান্ট এবং মাথায় কালো টুপি পরে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন এক জন। উঠে বসলেন গাড়িতে। কড়া পুলিশি নজরদারির বেশ কয়েকটি চেকপয়েন্ট পার করে গাড়িটি গিয়ে পৌঁছল গোমো রেলস্টেশনে।”

Advertisement

গোমো স্টেশনটি এখন ঝাড়খণ্ডের মধ্যে পড়ে। স্মৃতিচারণা করতে করতে মোদী জানান, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গোমো পৌঁছে সেখান থেকে ট্রেন ধরেন সেই ব্যক্তি। পরে আফগানিস্তান হয়ে ইউরোপে পৌঁছন। ব্রিটিশ শাসনের দুর্ভেদ্য দুর্গ থাকার পরেও তিনি তা পেরেছিলেন। মোদী বলেন, “এই কাহিনি আপনাদের কাছে কোনও সিনেমার মতো মনে হতে পারে। তাঁর এই অসীম সাহসিকতার কথায় আপনারা হয়তো অবাক হচ্ছে। এই ব্যক্তি আর কেউ নন, তিনি আমাদের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।” ২০২১ সাল থেকে প্রতি বছর নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর জন্মজয়ন্তী (২৩ জানুয়ারি)-কে পরাক্রম দিবস হিসাবে পালন করা হয়। রবিবার মোদী বলেন, নেতাজির এই সাহসিকতার কাহিনিটিও তাঁর পরাক্রমের পরিচয় দেয়।

এ ছাড়া মোদীর কথায় উঠে আসে নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গও। আগামী ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস। এই দিনেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও মজবুত এবং আধুনিক করার জন্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানান মোদী। এ বছর দেশের সংবিধান কার্যকর হওয়ার ৭৫ বছর বছর পূর্ণ হচ্ছে। সেই কারণে এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবস বিশেষ ভাবে স্মরণীয় বলে জানান মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement