প্রতীকী ছবি।
মাস্ক ছাড়াই অবাধে ঘোরাঘুরি চলছে বাজারে। কোথাও আবার পুলিশকেই বিলি করতে হচ্ছে মাস্ক। অথচ, গত দু’দিন ধরে বারাসতে মাস্ক বিক্রির হিড়িক পড়েছে যেন। তা-ও আবার যে সে মাস্ক নয়— তেরঙা, মাঝে অশোকচক্র। মাস্কগুলি এক বার ব্যবহারযোগ্য। অর্থাৎ, ব্যবহারের পরেই সেগুলি ফেলে দিতে হবে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ইতিমধ্যেই বারাসতের রাস্তাঘাটে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ব্যবহৃত এই মাস্কগুলি। অনেকের মতে, এটা জাতীয় পতাকার অবমাননা। বৃহস্পতিবার বারাসত পুর কর্তৃপক্ষ এই ধরনের মাস্ক বিক্রির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তার পরেও কেউ কেউ তা বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে বারাসতের হরিতলা মোড় এবং আশপাশের বাজারে বিক্রি হচ্ছিল এই মাস্ক। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষেই এই ধরনের মাস্ক আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু রাস্তায় এই ধরনের মাস্ক পড়ে থাকতে দেখার পরেই বিতর্ক শুরু হয়। এ দিন বারাসত পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বাজারে হানা দেন। যে সব দোকানি ওই মাস্ক বিক্রি করছিলেন, তাঁদের তিনি জানিয়ে দেন, তেরঙা মাস্ক আর বিক্রি করা যাবে না। এর পরেও তা বিক্রি করা হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। বিজেপি-র বারাসতের সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জাতীয় পতাকা এবং প্রতীকের অবমাননা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।