বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে বিধায়ক বিশ্বজিৎ। নিজস্ব চিত্র।
বনগাঁয় ভাইরাল ভিডিয়োর জেরে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা বনগাঁয়। ফের এক বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস খোঁচা দিলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানি সরকারকে। মঞ্চে আলোরানির পাশে দাঁড়িয়েই তাঁর ‘বিজেপি অতীত’ নিয়ে মন্তব্য করেন বিশ্বজিৎ
বাগদার দলত্যাগী বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ জানান, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনারই বিজপুরে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন আলোরানি। কিন্তু তৃণমূল তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করেছে। তাই তাঁর পক্ষেও বিজেপি-র ‘ছোট্ট ইতিহাস’ নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না তৃণমূলে কাজ করতে।’’ বিজেপি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যোগ্য সম্মান দেয় না দাবি করে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘এক মাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই উপযুক্ত সম্মান দিতে পারেন।’’
ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরেও বিশ্বজিৎ এবং আলোরানি বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি । তবে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত এ সম্পর্কে বলেন, ‘‘এটা কোনও বিতর্কিত বিষয় নয়। বিজেপি-তে থেকে চলে আসা এ রকম অনেক যোগ্য মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্য সম্মান দিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে আলোরানি সরকার বলেছিলেন পুরভোটে কেউ গোঁজ প্রার্থী হলে চামড়া গুটিয়ে নেবেন। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আবার ২০১৫ সালের পুরভোটে রিগিং করার জন্য বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার ভিডিয়ো ঘিরেও বনগাঁয় রাজনৈতক বিতর্ক হয়। বিধায়ক বিশ্বজিতের মন্তব্য প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবর্ষি বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিজেপি যদি সম্মানই না দিত, তা হলে বিশ্বজিৎ তৃণমূল ছেড়ে এসে বিধানসভা ভোটে টিকিট পেয়েছিলেন কী করে?’’