হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরোলেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। —নিজস্ব চিত্র।
নয়া রাজ্য কমিটি গঠনের তিন দিনের মাথায় বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে তৈরি করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেডে় বেরিয়ে গেলেন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি গ্রুপ ছেড়ে দেওয়া বিধায়করা। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বিজেপি বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। তাঁরা হলেন, গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। আর এই কাণ্ড ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে প্রকাশ্যে অবশ্য মুখ খোলেননি গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া পাঁচ বিধায়কের কেউই। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বলেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। মাফ চাইছি। কেন বেরোলাম তা এই মুহূর্তে বলতে চাইছি না।’’ গত ২২ ডিসেম্বর নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা করেছে পদ্মশিবির। ঘটনাচক্রে সেই কমিটিতে কোনও মতুয়া নেতা নেই। সেই বার্তাই কি একসঙ্গে পাঁচ মতুয়া বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিতে চেয়েছেন? উত্তর ২৪ পরগনা বিজেপি-র একাংশের দাবি, রাজ্যে পদ্মফুলের বাড়বাড়ন্তের কারিগর মতুয়ারা। কিন্তু রাজ্য কমিটিতে সেই মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি না থাকাতেই কি ‘আহত’ গ্রুপ ছেড়ে যাওয়া বিধায়করা? এই জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পদক্ষেপে। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন তিনি। ঠিক একই ‘ভূমিকা’য় শান্তনুকে দেখা গিয়েছিল এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগেও। সেই সময় বিজেপি-র প্রার্থীতালিকায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রতিনিধিদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি।
তবে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের বনগাঁ সংসদীয় জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘বিজেপি এ রাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক দল। কোনও শৃঙ্খলা নেই। পরাজয়ের জেরে তারা ছিন্নবিচ্ছিন্ন। অনেকেই গ্রুপ ছেড়ে বার হয়ে যাবে। বিজেপি রাজ্যে অস্তিত্বহীন হয়ে যাবে।’’