ভাঙড়ে পোলট্রি ফার্মে আগুন। — নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে একটি পোলট্রি ফার্মে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে শুরু হল তৃণমূল এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর চাপান-উতোর। আইএসএফের অভিযোগ, ওই পোলট্রি ফার্মে বোমা বানাতে গিয়ে আগুন লেগেছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ওই পোলট্রির মালিক সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। সে কারণেই তাঁর পোলট্রি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শাসকদলের। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকে ছড়িয়েছে ওই আগুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভাঙড়ের মাধবপুরের তালদিঘি গ্রামের বাসিন্দা সাব আমিন মোল্লার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগেই আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। যদিও তার আগেই আগুন আয়ত্তে আনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অবৈধ বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। এই আবহে ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে আইএসএফ। ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা গাজি সাহাজুদ্দিন সিরাজি বলেন, ‘‘সকালে খবর পেলাম, তালদিঘি গ্রামে একটি বিকট বোমার আওয়াজ হয়েছে। গ্রামের মানুষ দেখতে পান, একটি পোলট্রি ফার্ম জ্বলছে। তাঁরা ভাল ভাবে খবর নিয়ে জানতে পারেন, সেখানে বোমা বানানো হচ্ছিল। সেখানে বোমা বানানোর সামগ্রীতে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায়। শাসকদল বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করার কথা বলছে। যাঁরা এর পিছনে তাঁদের বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা উচিত। এখানেও শাসকদলের লোকজন যুক্ত বলে মনে করছি।’’
তালদিঘির তৃণমূল নেতা সনৎ সর্দার বলেন, ‘‘ওই পরিবারটি দীর্ঘ দিন ধরে পোলট্রির ব্যবসা করছে। পোলট্রি ফার্মে হঠাৎ আজকে আগুন লেগে যাওয়ার কারণটা সন্দেহজনক। যাঁর পোলট্রি ফার্ম তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। বিরোধী আইএসএফ এটা ঘটিয়েছে বলে আমাদের ধারণা।’’
অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে।