বাদুড়িয়ার রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম নাটুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রতীকী ছবি।
কন্যাসন্তান হয়েছে। সেটাই ‘অপরাধ’। আর সেই কারণেই গলা টিপে শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগ উঠল খোদ বাবার বিরুদ্ধে। বাদুড়িয়ার রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম নাটুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও দু’টি কন্যাসন্তান হয় অভিযুক্তের স্ত্রীর। এর পর তৃতীয় সন্তানও কন্যা জন্ম নেওয়ায় এক দিন বয়সি শিশুকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ উঠেছে বাবা রুহুল আমিন ইসলামের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা রুহুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ রুহুলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। মৃত শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ বছর আগে রেহেনা বেগমকে বিয়ে করে পেশায় ঠিকাদার রুহুল। বর্তমানে তাঁদের দুই মেয়ে। প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান মেয়ে হওয়ার জন্য স্ত্রীকে দায়ী করে রেহেনার উপর রুহুল শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ। রেহেনা আবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা তাঁর উপর আবার মানসিক চাপ দিতে থাকে। ‘মেয়ে জন্মালে তাকে মেরে ফেলব’ বলে রুহুল প্রকাশ্যে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। সোমবার রাতে রেহেনা কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। অভিযোগ, তা দেখে উত্তেজিত হয়ে কন্যাকে গলা টিপে খুন করে রুহুল।
পুলিশ জানিয়েছে, নবজাতিকা কেমন আছে তা দেখতে আশাকর্মীরা মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামে গেলে রক্তাক্ত এবং মৃত অবস্থায় নবজাতিকার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এর পরই রুহুলকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।