নেটমাধ্যমের তারকা বলতে যাদের নাম প্রথমেই মনে পড়ে তাঁদের মধ্যে অন্যতম সোফিয়া আনসারি।
টিকটকে জনপ্রিয়তা অর্জন করে সোফিয়া রাতারাতি নেটমাধ্যমের তারকার তকমা পান। টিকটকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকেও সমান জনপ্রিয় সোফিয়া।
সোফিয়ার অনেক অনুরাগীই তাঁকে ‘নেটমাধ্যমের রানি’ বলে মনে করেন। দেশে টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও সোফিয়ার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।
সোফিয়ার মতো নেটমাধ্যমে আরও অনেক মহিলা তারকা রয়েছেন। কিন্তু এত কম সময়ে কী ভাবে সবাইকে ছাপিয়ে এত জনপ্রিয়তা অর্জন করলেন সোফিয়া?
নেটমাধ্যমে সাহসী ছবি পোস্ট করার কারণে তিনি পুরুষ ভক্তদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। তিনি নতুন কী ছবি দিলেন তা দেখতে পুরুষ অনুরাগীরা নিয়মিত নেটমাধ্যমে গিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্টে ভিড় জমান।
রূপ এবং আবেদনময়ী চেহারার মাধ্যমে ইন্টারনেটে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন বছর পঁচিশের সোফিয়া। ছবি ছাড়াও নেটমাধ্যমে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিয়ো দেওয়ার কারণেও তিনি সমান জনপ্রিয়। বেশ কিছু মিউজিক ভিডিয়োতেও সোফিয়া অভিনয় করেছেন।
সোফিয়ার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মূলত সাহসী ছবিই দেখা যায়। আর এই ছবির আগুনেই পুড়ে ছাই হয় তাঁর পুরুষ অনুরাগীদের মন।
অনেক ভালোবাসা পেলেও সোফিয়া তাঁর সাহসী ও আবেদনময়ী ছবির জন্য বিদ্রুপের শিকারও হন। অনেকেই কটাক্ষ করে বলেন সোফিয়ার অন্য কোনও মেধা নেই। তাই শরীর দেখানোকেই জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কৌশল হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছেন।
তবে ভালবাসা পাওয়ার পাশাপাশি অনেকের চক্ষুশূলও হয়ে ওঠেন সোফিয়া। নেটমাধ্যমে সাহসী ছবি শেয়ার করার জন্য কট্টরপন্থী এবং ধর্মান্ধদের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছে সোফিয়াকে। তবে তাতেও তিনি থেমে থাকেননি।
সম্প্রতি সোফিয়ার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়। অনেকের মতে, একাধিক সাহসী ছবি এবং ভিডিয়ো দেওয়ার কারণে, ইনস্টাগ্রামের নির্দেশিকাবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আর সেই কারণেই তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয় সংস্থার তরফ থেকে।
তবে তিনি ফের একটি নতুন অ্যাকাউন্ট চালু করেছেন। তাঁর পুরনো ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রায় ৯০ লক্ষ ফলোয়ার ছিল।
অনেকেই এটা জেনে আবাক হবেন যে সোফিয়ার আদি বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। তবে পরে তাঁর পরিবার পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে গুজরাতের বডোদরায় চলে যায়।
সোফিয়া ১৯৯৬ সালের ৩০ এপ্রিল গুজরাতের বডোদরায় জন্মগ্রহণ করেন। সেখানকারই এক স্থানীয় কলেজ থেকে তিনি স্নাতক হন। বর্তমানে তাঁর ঠিকানা মুম্বই। সোফিয়ার বার্ষিক আয় ৭০ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা।