ভাঙড়ে আইএসএফ নেতার বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
রাতের অন্ধকারে ভাঙড়ের এক আইএসএফ নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার ভগবানপুর অঞ্চলের ছয়ানি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুতলি জড়ানো বোমা পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকার বাসিন্দা আবুল ফারাক ভগবানপুর অঞ্চলের আইএসএফ অঞ্চল সভাপতি। অভিযোগ, রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমোতে যাচ্ছিলেন সকলে। সে সময়ে বিকট শব্দ হয়। ভয়ে সকলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেখেন, বাড়ির উঠোনে একটি সুতলি জড়ানো বোমা পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফের। ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, একটি বোমা ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গেলেও তা ফাটেনি বা বোমা ফাটার চিহ্ন মেলেনি।
দিন কয়েক আগে কাশীপুর থানারই গানিরাইট গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা ফেটে গুরুতর জখম হয়েছিলেন গৃহকর্ত্রী। তৃণমূলের দাবি ছিল, আইএসএফ পরিকল্পিত ভাবে ওই বাড়িতে বোমা ছুড়েছিল। যদিও আইএসএফের দাবি ছিল, ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে মজুত করে রাখা বোমা ফাটে। এই ঘটনার পর এ দিন আইএসএফ নেতার বাড়ির উঠোন থেকে বোমা পাওয়া যাওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আবুল ফারাক বলেন, ‘‘আমার উপরে চাপ সৃষ্টি করতে তৃণমূল এর আগেও বাড়িতে হামলা করেছিল। এ বার বোমা ছুড়েছে। এলাকা অশান্ত করতে তৃণমূল এ ধরনের নোংরামি করছে। আমরা বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করি না। এটা ওদের সংস্কৃতি।’’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা (বাপি) বলেন, ‘‘সওকাত মোল্লার নেতৃত্বে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব যখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছে, তখন ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে। ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় মিথ্যা বদনাম করতে এ সব বলছে। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়। ওরা নিজেরাই বাড়িতে বোমা রেখে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানোরচেষ্টা করছে।’’