TMC vs BJP

বিজেপির দফতরে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়লেন তৃণমূল কাউন্সিলর! ভাঙচুর, বচসায় উত্তপ্ত কামারহাটি

বিজেপি এবং তৃণমূলের বচসায় শনিবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কামারহাটি। সেখানে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে রাতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কামারহাটি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ০৮:৫১
Share:

কামারহাটিতে বিজেপির কার্যালয়ের সামনে তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রাই। — নিজস্ব চিত্র।

কামারহাটিতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বৈঠক চলাকালীন ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি চার চাকা গাড়ি নিয়ে দফতরে ঢুকে পড়েন। এর ফলে দরজা ভেঙে যায়। দফতরের বাইরে সাজানো মনীষীদের কাট-আউট ভেঙে যায়। দফতরের ভিতরে ঢুকেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মলা রাই। তাঁর পাল্টা দাবি, বিজেপির লোকজন তাঁর উপর চড়াও হন এবং তাঁকে আঘাত করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে উত্তাপ ছড়িয়েছে বেলঘরিয়ায়।

Advertisement

কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলা কার্যালয়ে শনিবার রাতে বৈঠক চলছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, আচমকা বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। বিজেপি কর্মীরা বাইরে গিয়ে দেখেন, তাঁদের গাড়ি, বাইক ফেলে ভাঙচুর করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে চলছে গালিগালাজ। এর পরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির উত্তর শহরতলির জেলা সভাপতি অরিজিত বক্সী বলেন, ‘‘নির্মলা রাই তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হঠাৎ করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে রাখা বাইকগুলি ফেলে ভাঙতে শুরু করেন। শুনতে পেয়ে আমরা বাইেরে যাই। তখন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আমাদের। বলেন, এখানে বিজেপির বৈঠক করা যাবে না। করতে হলে তাঁর অনুমতি নিতে হবে। আমরা ওঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, গণতান্ত্রিক দেশে এ ভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা যায় না। কিন্তু আমাদের কথা বোঝার মতো অবস্থা ওঁদের ছিল না। ওঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা অনেকেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে আমাদের মনে হয়েছে। চার চাকা গাড়ি নিয়ে আমাদের দফতরে ঢুকে পড়েছিলেন, তাই দরজা ভেঙে গিয়েছে।’’

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নির্মলা। তাঁর পাল্টা দাবি, বিজেপির বহিরাগতেরা তাঁর উপর হামলা করেন। তাঁর আঙুলে চোট লেগেছে বলেও জানান। নির্মলা বলেন, ‘‘আমি রাতে দলীয় বৈঠক সেরে ফিরছিলাম। দেখলাম ২০০-র বেশি বাইক এবং ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়। রাস্তা আটকে থাকায় এলাকার বাসিন্দারা আমাকে অসুবিধার কথা জানান। তখন আমি ওদের গিয়ে অনুরোধ করেছি, রাস্তা খালি করে দিন। কিন্তু ওরা কেউ কথা শোনেনি। উল্টে আমাদের গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করছিল। আমরা পালাতে গেলে আমাকেও আক্রমণ করে। অন্তত ২০০ জন আমাদের উপর চড়াও হয়। ওদের কাছে পিস্তল ছিল। আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। সকলে বহিরাগত, চেনা কেউ ছিল না। কী ঘটেছে, তা তদন্ত করলে বোঝা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement