তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েত। নিজস্ব চিত্র।
আমডাঙার তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বিজেপি সদস্যের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবরে শাসক দলের অন্দরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়। মোহন বিশ্বাস নামে তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই বিজেপি সদস্য তৃণমূল যোগ দিচ্ছেন বলে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন। আর তাতেই তৈরি হয়েছে অশান্তি। অভিযোগ, তৃণমূলের মুষ্টিমেয় কয়েকজন চাইলেও মোহনকে তৃণমূলে চাইছেন না স্থানীয় কর্মী-সমর্থকদের বড় অংশ।
আমডাঙ্গার বিধায়ক রফিকার রহমানের কাছে ইতিমধ্যেই মোহনকে দলে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে এসেছেন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা। যদিও বিধায়কের দাবি, মোহনকে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দল। তবে রফিকারের দাবি, তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নেবে তৃণমূল।
বিজেপি নেতা ভগবান সিংয়ের অভিযোগ, মোহন এবং তাঁর ছেলের নামে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেই ভয় দেখিয়েই তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে দলে টানছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘‘তবে আমরা আশা করব, গণতান্ত্রিক প্রথা মেনেই প্রধান নির্বাচন করা হবে।’’ অন্য দিকে, সিপিএম নেতা শাহরাব মণ্ডল বুধবার বলেন, ‘‘তৃণমূলের নীতি-আদর্শ বলে কিছু নেই। তাই অনৈতিক ভাবে তারা পঞ্চায়েত দখল করার চেষ্টা করছে।’’
স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৮ পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে তারাবেড়িয়া অঞ্চলে প্রধান নির্বাচন করা যায়নি। কারণ, বোর্ড গঠন নিয়ে বার অশান্তি। রাজনৈতিক বিবাদের জেরে বোমাবাজি, খুন পর্যন্ত হয়েছে। পঞ্চায়েত গঠিত না হওয়ায় গ্রামবাসীদের নানা সমস্যা হচ্ছে। এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এখন দেখার অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অসহযোগিতা সত্ত্বেও কী ভাবে আমডাঙার বিধায়ক রফিকার বিবাদ মিটিয়ে পঞ্চায়েত দখল করতে পারেন!’